জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র ও জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম জানিয়েছেন, আগামী ছয় মাসে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব নয়। শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “নতুন ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, বিচার বিভাগ সংস্কার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তাদের সঠিক দায়িত্বে ফিরিয়ে আনা—এসব কাজ ছয় মাসে সম্পন্ন করা অসম্ভব।”
সারজিস আলম আরও বলেন, “নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যারা যুক্ত আছেন, তারা তাদের জায়গা থেকে কাজ করবেন। তবে অন্তর্বর্তী সরকারকে এমন একটি সময় বেছে নিতে হবে, যা স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনের জন্য উপযুক্ত। তবেই প্রকৃত জনগণের প্রতিনিধিরা ক্ষমতায় আসবে।”
আগামী নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পঞ্চগড়ের জনগণ যদি মনে করে, আমিসহ নতুন প্রজন্মের কেউ তাদের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে, তাহলে আমি সেই দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। জনগণ চাইলে তা একটি আমানত। দায়িত্ব পালনে আমি পিছপা হবো না।”
জুলাই ঘোষণাপত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাসের লিখিত স্বীকৃতি থাকা জরুরি। যারা রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে, তাদের সম্মান জানানো প্রয়োজন। আমরা আশা করি, এই ঘোষণাপত্র খুব দ্রুত প্রকাশিত হবে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড় বারের সরকারি কৌশলী অ্যাডভোকেট এম এ বারি, পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আদম সুফি, স্থানীয় সমন্বয়ক মোকাদ্দেসুর রহমান সান, এবং ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন দিপু।
এর আগে সারজিস পঞ্চগড় পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে প্রায় দেড় হাজার দরিদ্র ও শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।


