আরও ৪৫০ কোটি টাকা ঋণ পাচ্ছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা

ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের আরও ৪৫০ কোটি টাকা ঋণ দেবে এসএমই ফাউন্ডেশন। একজন উদ্যোক্তা সর্বনিম্ন এক লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। তবে মূলধনী যন্ত্রপাতি ক্রয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন উদ্যোক্তারা। মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে চুক্তি সই করেন অংশীদার ১৯টি ব্যাংক ও ৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীরা। বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় শিল্পমন্ত্রণালয়।

ঋণ দেওয়ার জন্য চুক্তি করা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো সোনালী ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ঢাকা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, দি প্রিমিয়ার ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, আইডিএলসি ফাইন্যান্স, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স এবং ইউনাইটেড ফাইন্যান্স।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জাকিয়া সুলতানা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আব্দুর রহমান খান।

অর্থ বিভাগের নতুন পরামর্শ মোতাবেক এই ঋণের সুদহার হবে মাত্র ৬ শতাংশ। এ লক্ষ্যে ২৩টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে এসএমই ফাউন্ডেশন। করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় এসএমই ফাউন্ডেশনের অনুকূলে বরাদ্দ ৩০০ কোটি টাকা বিতরণের পর অর্থ বিভাগের পরামর্শে ‘রিভলভিং ফান্ড’ থেকেও এসএমই উদ্যোক্তা, ক্লাস্টার, ক্লায়েন্টেল গ্রুপ, অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বারের সদস্য এবং নারী-উদ্যোক্তাদের মাঝে ২৯৪ কোটি ঋণ বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে এসএমই ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়। অংশীদার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে জামানতবিহীন ঋণ বিতরণের বিষয়ে উৎসাহিত করা হবে। তবে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত কোনো জামানত গ্রহণ করা হবে না। গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা হবে সর্বোচ্চ ৪ বছর। গ্রাহক-ব্যাংক সম্পর্কের ভিত্তিতে ৬ মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৪৮টি মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে। মোট ঋণের ৩০ শতাংশ নারী-উদ্যোক্তাদের মাঝে এবং ১০ শতাংশ এসএমই ক্লাস্টারের উদ্যোক্তাদের মাঝে বিতরণ করতে হবে।

নারী-উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে মোট ঋণের ৫০ শতাংশ উৎপাদন ও সেবা খাতে এবং বাকি ৫০ শতাংশ ভ্যালুচেইন ও অন্যান্য খাতে বিতরণ করতে হবে। আর পুরুষ উদ্যোক্তার ক্ষেত্রে মোট ঋণের ৫০ শতাংশ উৎপাদন খাতে, ২৫ শতাংশ সেবা খাতে এবং ২৫ শতাংশ ভ্যালুচেইন ও অন্যান্য খাতে বিতরণ করতে হবে। তবে অনুৎপাদনশীল খাত যেমন, মুদি দোকান, ওষুধ বিক্রেতা, হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী এবং পরিবেশ দূষণের সঙ্গে জড়িত এমন ব্যবসার অনুকূলে এ কর্মসূচির আওতায় ঋণ দেওয়া হবে না। 

news