বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল ও হাই-টেক শিল্পে বিপ্লব ঘটাতে ওয়ালটন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি দেশকে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে এবং ক্রেতা, বিক্রেতা ও শুভানুধ্যায়ীদের সহযোগিতায় দেশীয় শিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এর ফলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হচ্ছে এবং বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য বিশ্ববাজারে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। ওয়ালটন মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।  

তবে সম্প্রতি ওয়ালটনের বিরুদ্ধে কিছু ব্যক্তি মানববন্ধন করেছেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালানো হচ্ছে। ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সতর্ক হয়েছে এবং এটিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার হিসেবে অভিহিত করেছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, কিছু ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটর পূর্বে বাকিতে পণ্য নিয়ে বিক্রির পর পাওনা অর্থ পরিশোধ করেননি। তারা বিক্রির টাকা অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন বা এমন খাতে বিনিয়োগ করেছেন যেখানে প্রত্যাশিত সাফল্য আসেনি। বর্তমানে তারা ওয়ালটনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছেন, যা মূলত বকেয়া অর্থ পরিশোধ এড়ানোর কৌশল।  

ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, তাদের সাথে ব্যবসা করে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কোনো নজির নেই। হাজার হাজার ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটর দীর্ঘদিন ধরে সফলভাবে ওয়ালটনের সাথে ব্যবসা করে আসছেন। নতুন ডিলারশিপের জন্য বিপুলসংখ্যক আবেদনও জমা রয়েছে। ওয়ালটন সব সময় ব্যবসায়িক স্বচ্ছতা বজায় রেখে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং ডিলারদের সঙ্গে সুদৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।  

ওয়ালটন মনে করে, বাজেট ঘোষণার কয়েক মাস আগে থেকেই কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী দেশীয় শিল্পকে হুমকির মুখে ফেলার জন্য সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং বিদেশি পণ্যের আমদানির সুযোগ সৃষ্টির জন্য স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়। ওয়ালটন জানায়, "প্রতিবছর বাজেট ঘোষণার আগে এ ধরনের মিথ্যা প্রচারণা আমরা লক্ষ্য করি, এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।"  

ওয়ালটন তাদের গ্রাহক, শুভানুধ্যায়ী এবং অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, এসব বিভ্রান্তিকর অপপ্রচারে কান না দেওয়ার জন্য। প্রতিষ্ঠানটি দেশীয় শিল্প রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও আহ্বান জানিয়েছে। ওয়ালটন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, ক্রেতা, বিক্রেতা ও নীতিনির্ধারকরা এসব অপতৎপরতার বিষয়ে সচেতন থাকবেন এবং দেশীয় শিল্পের বিকাশে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন।