তাজমহলকে রাজপরিবারের সম্পত্তি বলে দাবি বিজেপি এমপির
ভারতে বিশ্বখ্যাত আগ্রার ঐতিহাসিক স্মৃতি সৌধ তাজমহলকে এবার জয়পুরের সাবেক রাজপরিবার নিজেদের বলে দাবি করেছে।
আজ (বুধবার) হিন্দি গণমাধ্যম ‘আজতক’ সূত্রে প্রকাশ, জয়পুরের সাবেক রাজপরিবারের সদস্যা ও বিজেপি এমপি দিয়া কুমারী বলেছেন, তাজমহল আমাদের সম্পত্তি। যা আমাদের পারিবারিক প্রাসাদের সম্পত্তির উপর নির্মিত। দিয়া কুমারী দাবি করেছেন, তার কাছে নথি রয়েছে যা দেখায় যে তাজমহল আগে জয়পুরের সাবেক রাজপরিবারের একটি প্রাসাদ ছিল, যা শাহজাহান দখল করেছিলেন।
দিয়া কুমারী বলেছেন, শাহজাহান যখন জয়পুর পরিবারের এই প্রাসাদ ও জমি নিয়েছিলেন, তখন মুঘল সরকার ছিল। তাই তাকে প্রতিরোধ করতে করা যায়নি। তিনি বলেন, আজও সরকার কোনো জমি অধিগ্রহণ করলে তার বিনিময়ে ক্ষতিপূরণ দেয়। কিন্তু এর বিনিময়ে কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি বলে শুনেছি। সে সময় এমন কোনো আইন ছিল না যে কেউ তার বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবে বা তার বিরুদ্ধে কিছু করতে পারবে। এখন কেউ ওই বিষয়ে আওয়াজ তুলে আদালতে পিটিশন দাখিল করলে ভালো হয়।
দিয়া কুমারী বলেন, বন্ধ কক্ষ খুলে তাজমহল আগে কী ছিল তা খুঁজে বের করতে হবে। তিনি বলেন, আমি বলব না যে তাজমহল ভেঙে ফেলতে হবে, তবে এর ঘরগুলো খুলে দিতে হবে। তিনি বলেন, তাজমহলের কিছু কক্ষ বন্ধ রয়েছে। কিছু অংশ সেখানে দীর্ঘদিন সিলগালা করে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে অবশ্যই তদন্ত হওয়া উচিত এবং এটি খোলা উচিত। যাতে জানা যায় সেখানে কী ছিল, কী ছিল না। এই সমস্ত তথ্য তখনই স্থিতিশীল হবে যখন একবার সঠিক তদন্ত হবে এবং যখন আদালত নির্দেশ দেবে যে তাজমহল আগে কী ছিল তা জানা উচিত।
অন্যদিকে, ইলাহাবাদ হাই কোর্টে মামলা দায়ের করে অযোধ্যা জেলার বিজেপি ‘মিডিয়া ইনচার্জ’ রজনীশ সিং ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (আর্কিয়োলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা এএসআই)-এর তত্ত্বাবধানে তাজমহলের ‘আসল ইতিহাস’ অনুসন্ধানের দাবি জানিয়েছেন। আদালত সেই মামলা শুনানির আবেদন গ্রহণ করেছে।
রজনীশের আইনজীবী রুদ্রবিক্রম সিংহ বুধবার বলেন, ‘হিন্দু সন্তেরা মনে করেন ‘তেজো মহালয়’ নামে একটি শিব মন্দিরের উপরে ওই সৌধ (তাজমহল) গড়া হয়েছে। আমরা চাই ‘এএসআই’-এর পুরাতত্ত্ববিদদের তত্ত্বাবধানে তাজমহল চত্বরে অনুসন্ধান চালিয়ে সত্য উদ্ঘাটন করা হোক।’ তাজমহলের ভিতরে দীর্ঘ দিন ধরে ২২টি ঘর বন্ধ আছে দাবি করে, ‘এএসআই’-এর প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সেগুলো খোলারও দাবি জানিয়েছেন তিনি।খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে