ভারতের উত্তরাখন্ডের পাউরি গাড়ওয়াল জেলার বিজেপি নেতা লখপথ ভান্ডারি নির্দেশ দিয়েছিলেন লাভ জিহাদের নামে কোনো হিন্দু মেয়েকে মুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছেলে বিয়ে করলে ওই ছেলের চোখ বের করে নেওয়ার। তার এধরনের নির্দেশকে হিংসমূলক বক্তৃতা হিসেবে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে স্বতঃপ্রণোদিত বিবেচনায় জেলা পুলিশ শুক্রবার বিএনএসের ১৯৬ ধারা এবং ২৯৯ ধারায় লখপথের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বিজেপি নেতা লখপথ ভান্ডারি চোখ তুলে নেওয়া ছাড়া লাভ জিহাদে জড়িত সংখ্যালঘুদের দোকান পাট পুড়িয়ে দেওয়ার কথাও বলেন। বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে স্থানীয় পুলিশ শত্রুতা প্রচার এবং ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করার অভিযোগে মামলা রুজু করেছে। লখপথ পাউরি গাড়ওয়াল জেলা ইউনিটের বিজেপির সহ-সভাপতি। গত বৃহস্পতিবার ওই জেলার শ্রীনগর শহরে একটি  সমাবেশে এভাবেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি এক্ষেত্রে পুলিশি নিষ্ক্রীয়তার অভিযোগ তোলেন।
পাউরি গাড়ওয়াল জেলার পুলিশ সুপার লোকেশ্বর সিং টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, মামলার তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া, নারীদের বিরুদ্ধে যে কোনও অপরাধের ঘটনায় ধর্ম নির্বিশেষে পুলিশ সব সময়ই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়।
এদিকে, ভান্ডারি শনিবার জানিয়েছেন, শ্রমিক হিসাবে কাজ করা একজন মুসলিম ব্যক্তি সম্প্রতি ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে হয়রানির ঘটনার পরে জেলা বিজেপি রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছিল। এটি প্রথম ঘটনা নয়। এর আগেও বিজেপি এনিয়ে রাস্তায় নেমেছে। তিনি জানান, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কিছু যুবক নিজেদের হিন্দু বলে পরিচয় দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট চালাচ্ছে। এরপর তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দু মেয়েদের টার্গেট করছে।
তারা হিন্দু মেয়েদের বিশেষ করে কিশোরীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার জন্য এসব করছে। এরপর তাদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করছে। তিনি হিন্দু মেয়ে এবং অভিভাবকদের এনিয়ে আরও সতর্ক হওয়ার কথা বলেন। তবে বিজেপি নেতার এই মন্তব্যের পরেই তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হলে পদক্ষেপ নেয় পুলিশ।

news