আহমেদাবাদে সংঘটিত এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ বিমান দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। ভারতের এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি) প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, বিমানটি আকাশে ওঠার মাত্র ৩২ সেকেন্ড পর দুটি ইঞ্জিনের জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়াই দুর্ঘটনার মূল কারণ হতে পারে।

ককপিট ভয়েস রেকর্ডারে ধরা পড়েছে এক পাইলটের জিজ্ঞাসা: "তুমি কেন ফুয়েল কেটে দিলে?" অপর পাইলটের উত্তর: "আমি কিছু করিনি।" এই রহস্যময় কথোপকথনের পরই বিমানটির জ্বালানি সুইচ 'RUN' থেকে 'CUTOFF' অবস্থায় চলে যায়। পাইলটরা দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন।

মুহূর্তে ধ্বংস:

বিমানটি ১২ জুন লন্ডনগামী ফ্লাইট হিসেবে উড্ডয়নের পরপরই দুর্ঘটনায় পতিত হয়

মাত্র ৩২ সেকেন্ডের ফ্লাইট শেষে একটি মেডিকেল ছাত্রাবাসে বিধ্বস্ত হয়

২৪২ যাত্রী ও ক্রু সদস্যের মধ্যে ২৪১ জন এবং ভবনে থাকা ৩০ জন নিহত

তদন্তের মূল প্রশ্ন:
১. কে বা কী কারণে জ্বালানি সুইচ 'CUTOFF' অবস্থানে নিল?
২. বোয়িং ৭৮৭-এর সুরক্ষা ব্যবস্থা কেন ব্যর্থ হল?
৩. মার্কিন FAA এর পূর্ববর্তী সতর্কতা (বোয়িং ৭৩৭ সিরিজে ফুয়েল সুইচ লকিং সমস্যা) কি প্রাসঙ্গিক?

পাইলটদের প্রোফাইল:

ক্যাপ্টেন সুমিত সাবারওয়াল: ৮,২০০ ঘণ্টার অভিজ্ঞতা

কো-পাইলট ক্লাইভ কুন্দর: ১,১০০ ঘণ্টার অভিজ্ঞতা

দুজনই শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ ছিলেন বলে নিশ্চিত তদন্তকারীরা

পরবর্তী তদন্ত:

বিমানের ব্ল্যাক বক্সের তথ্য বিশ্লেষণ অব্যাহত

জ্বালানি ব্যবস্থাপনায় সম্ভাব্য কারিগরি ত্রুটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে

নাশকতার সম্ভাবনা এখনো উড়িয়ে দেওয়া হয়নি

এই ঘটনা গত এক দশকের মধ্যে ভারতের সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তদন্তকারীরা আশঙ্কা করছেন, পাইলটদের শেষ মুহূর্তের কথোপকথন এবং জ্বালানি ব্যবস্থায় অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন বিমান শিল্পে নতুন সুরক্ষা প্রটোকল তৈরির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।

news