ভারতে ৭টি উপনির্বাচনে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া জিতেছে ৪টি, ক্ষমতাসীন এনডিএ ৩টি 

পশ্চিম বঙ্গের ধুপগুড়িতে জয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘এটা ইন্ডিয়ার জয়।’ যা ধুপগুড়ি ছাড়িয়ে সারা দেশের পক্ষেও তাৎপর্যপূর্ণ। সাতটির মধ্যে চারটি কেন্দ্রে জিতেছে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র চার শরিক, কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি এবং ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)। তিনটি পেয়েছে বিজেপি। বাংলার ধূপগুড়ির জেতা আসন তৃণমূলের কাছে খোয়ালেও ত্রিপুরায় বামেদের জেতা একটি আসন ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি।

আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগড়, রাজস্থান তেলঙ্গানা এবং মিজোরামে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। তার আগে উপনির্বাচনের এই ফল বিজেপিকে কিছুটা চাপে রাখবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। 

গত ১ সেপ্টেম্বর মুম্বাইয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ‘যত দূর সম্ভব ঐক্যবদ্ধ লড়াই’-এর প্রতিশ্রুতি দিলেও উপনির্বাচনের কার্যক্ষেত্রে তা পূরণ করতে পারেনি ‘ইন্ডিয়া’। ধূপগুড়িতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়েছেন বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী। উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বরে কংগ্রেসে বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। আবার কেরলে দেখা গিয়েছে কংগ্রেস এবং সিপিএমের কার্যত দ্বিমুখী লড়াই। সেখানে তৃতীয় স্থানাধিকারী বিজেপি প্রার্থীর ঝুলিতে ভোট নেহাতই অকিঞ্চিৎকর।

বিজেপির ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের ধূপগুড়ির ‘ক্ষতি’ পূরণ হয়েছে ত্রিপুরার বক্সনগর বিধানসভায়। উপনির্বাচনে ত্রিপুরার ওই কেন্দ্রে ৩০ হাজারেরও বেশি ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। অথচ, মাত্র সাত মাস আগে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে সাড়ে ৪ হাজারেরও বেশি ভোটে ওই কেন্দ্রে জিতেছিলেন সিপিএম প্রার্থী। তাঁর মৃত্যুতে ওই আসনে উপনির্বাচন হয়। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি
 

news