গাজায় ইসরায়েলি সেনা-হামাস তুমুল লড়াই

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় শুক্রবার রাতে ব্যাপক পরিসরে  বোমা ও বিমান হামলার মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল হামলা শনিবারও অব্যাহত ছিল। এ উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে ঢুকে পড়া ট্যাংক ও সাঁজোয়াযান সজ্জিত দেশটির হাজার হাজার সেনার বিরুদ্ধে  ফিলিস্তিনি মুজাহিদরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।

 শুক্রবার রাতে ইন্টারনেটসহ সব ধরনের যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে বিধ্বস্ত গাজায় স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে সর্বাত্মক হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কার্যত গোটা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া গাজা উপত্যকায় কী হচ্ছে, তার প্রকৃত চিত্র জানা যাচ্ছে না। ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে। কার্যত সে গণহত্যার ঘটনা ঢাকা দিতে ইসরায়েল সেখানকার যোগাযোগ ব্লাকআউট করে রেখেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এক বিবৃতিতে শনিবার হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডস বলেছে, উত্তর গাজার বেইত হানুন ও পূর্বাঞ্চলীয় বুরেইজ এলাকায় অনুপ্রবেশকারী ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা জোর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই চালিয়ে যাবেন তারা।

অভিযানের ব্যাপারে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র দানিয়েল হাগারি শনিবার বলেন, তাদের পদাতিক বাহিনী এখনো গাজায় রয়েছে। তারা পরবর্তী অভিযানের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরিতে কাজ করছে। এখন পর্যন্ত এই বাহিনীর কেউ হতাহত হয়নি। উত্তর গাজার বাসিন্দাদের দক্ষিণে সরে যাওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন এই ইসরায়েলি কর্মকর্তা।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে গ্যালান্ট বলেন, ‘আমরা স্থলভাগের ওপর ও নিচে আক্রমণ চালিয়েছি। আমরা সব জায়গায়, সর্বস্তরের সন্ত্রাসীকে লক্ষ্যবস্তু করেছি। সামরিক বাহিনীর প্রতি বার্তা স্পষ্ট নতুন করে নির্দেশনা দেওয়ার আগপর্যন্ত এ অভিযান চলবে।’

গাজায় স্থল অভিযান ও অব্যাহত বোমাবর্ষণের বিষয়ে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক। তিনি বলেন, ‘আমি গাজায় বড় পরিসরে স্থল অভিযানের সম্ভাব্য বিপর্যয়কর পরিণতি ও আরও হাজারো বেসামরিক লোকের সম্ভাব্য প্রাণহানির বিষয়ে সতর্ক করছি।’

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা শুরুর কয়েক সপ্তাহ আগে ইসরায়েল ও দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড নিয়ে গঠিত জাতিসংঘ তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান নাভি পিল্লাই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। তাতে বলা হয়েছে, ‘কমিশন তদন্তে দেখতে পেয়েছে, ক্রমবর্ধমান হারে সামরিক বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে ইসরায়েলের তৈরি করা আইনের প্রয়োগ ও গাজায় তাদের বারবার হামলার লক্ষ্য, দেশটির ৫৬ বছরের বেআইনি দখলদারত্ব বজায় রাখা।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news