ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা ক্রমাগত বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বুধবার এক টুইটে বলেছেন, তিনি এই পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। 

"মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর টুইটারে পোস্টে বলেছেন, 'আমি ট্রাম্পের বক্তব্যের সাথে একমত যে এই সংঘাত দ্রুত শেষ হোক। আমরা ভারত ও পাকিস্তান উভয় নেতৃত্বের সাথে শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।' উল্লেখ্য, ভারতের হামলার পরপরই ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাস রুবিওকে ব্রিফিং দিয়েছে।"

"এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছে পাকিস্তান।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা নিয়ে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে উদ্বেগ। এবার সরাসরি আহ্বান জানাল সংযুক্ত আরব আমিরাত। আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শন এবং কূটনৈতিক পথে অগ্রসর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

আমিরাতের বিবৃতিতে বলা হয়, “যে কোনো ধরনের সংঘাত শুধু এই অঞ্চল নয়, গোটা বিশ্বে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে। তাই ভারত ও পাকিস্তান উভয়ের উচিত উত্তেজনা প্রশমন এবং নতুন করে সংঘর্ষে না জড়ানো।” শেখ আবদুল্লাহ জোর দিয়ে বলেন, “শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে কার্যকর পথ হলো কূটনীতি ও সংলাপ।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, পাকিস্তান শুরু থেকেই সংযত ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখে আন্তর্জাতিক শান্তি প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে এসেছে। যুদ্ধ নয়, শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়ে পাকিস্তান আবারও প্রমাণ করল—তারা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার পক্ষে।

অন্যদিকে, ভারত যখন ‘সুনির্দিষ্ট হামলা’র নামে একতরফা সামরিক পদক্ষেপ নিচ্ছে, তখন পাকিস্তানের পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ বার্তা এবং কূটনৈতিক সমাধানের আহ্বান বিশ্ববাসীর দৃষ্টি কেড়েছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেমন সংযুক্ত আরব আমিরাত এখন পাকিস্তানের শান্তির আহ্বানকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। প্রশ্ন উঠছে—এই উত্তেজনা প্রশমনে ভারত কতটা দায়বদ্ধ? সময় এসেছে, শান্তির পথে সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার। পাকিস্তান তার ভূমিকা ইতোমধ্যেই পালন করছে।

news