মে মাসে টানা চার দিনের সীমান্ত সংঘর্ষে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড়সড় সাফল্যের দাবি করেছে ভারত। ভারতের প্রতিরক্ষা সূত্রগুলো জানিয়েছে, ওই সংঘাতে পাকিস্তানের ছয়টি যুদ্ধবিমান, দুটি নজরদারি বিমান, একটি সি-১৩০ পরিবহন বিমান, ৩০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র এবং একাধিক ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।

ইন্ডিয়া টুডে-কে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, পাকিস্তান বিমান বাহিনীর ছয়টি যুদ্ধবিমান ভারতীয় আকাশ প্রতিরক্ষা এবং আক্রমণাত্মক অভিযানে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি ছিল এয়ারবর্ন আর্লি ওয়ার্নিং ও কন্ট্রোল এয়ারক্রাফ্ট, যেটিকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ধ্বংস করা হয়।

পাকিস্তানের ভোলারি বিমানঘাঁটিতে সুইডিশ তৈরি একটি ইলেকট্রনিক নজরদারি বিমানও ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। ভারতীয় বাহিনী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে এই হামলা চালায়। যদিও পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি স্বীকার করেনি বা ধ্বংসাবশেষ প্রকাশ করেনি, তবে ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, এই হামলায় বড় ক্ষতি হয়েছে।

ভারতের পক্ষ থেকে ব্রহ্মস মিসাইল ব্যবহার না করে আকাশ থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েই অভিযান চালানো হয়েছে। রাফাল ও এসইউ-৩০ বিমানের সম্মিলিত আক্রমণে পাকিস্তানের একাধিক চীনা উইং লুং ড্রোন ধ্বংস হয়।

ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও সংঘর্ষ চলাকালে পাকিস্তানের ছোড়া ১০টির বেশি ড্রোন এবং বহু ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে প্রতিহত করেছে।

এই অভিযান শুরু হয় ৬ মে রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে, যেখানে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী ঘাঁটি লক্ষ্য করে ভারত প্রতিশোধমূলক হামলা চালায়। অবশেষে ১০ মে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় দুই দেশ।

news