বিশ্বের দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তি, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং টেলিফোনে গুরুত্বপূর্ণ এক আলাপ করেছেন। চীনের ওয়াশিংটন দূতাবাস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার এই আলোচনা হয় ট্রাম্পের অনুরোধে। মূলত, সাম্প্রতিক শুল্কবিষয়ক জটিলতা নিরসনই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।
রয়টার্সের তথ্যমতে, এই ফোনালাপ এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো যখন শুল্ক সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব ফের তীব্র হয়ে উঠছে। গত মে মাসে, ৯০ দিনের জন্য দুই দেশ সাময়িক একটি চুক্তিতে পৌঁছেছিল—যেখানে শুল্ক হ্রাসে সম্মতি দেয় উভয় পক্ষ। কিন্তু পরে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, চীন চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। এর জবাবে চীন গুরুত্বপূর্ণ খনিজ রপ্তানি হঠাৎ বন্ধ করে দেয়, যার ফলে বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে বিরূপ প্রভাব পড়ে।
ট্রাম্প প্রশাসনের অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ ও হঠাৎ সিদ্ধান্ত বিশ্ববাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছে। ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামে শুল্ক বাড়ানো, চীনা প্রযুক্তিপণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে শুল্ক লঙ্ঘনের অভিযোগ—সব মিলিয়ে বাণিজ্যযুদ্ধের আবহ আরও ঘনীভূত হয়েছে।
তবে এই আলোচনার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। যদিও বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে মতপার্থক্য এখনো বিদ্যমান—তাইওয়ানের মর্যাদা, ফেন্টানিল রপ্তানি এবং রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত অর্থনীতির মতো বিষয়ে—তবুও দুই নেতার এই যোগাযোগ ভবিষ্যতের সমঝোতার পথ প্রশস্ত করতে পারে।
ট্রাম্প যদিও শিকে ‘দৃঢ় নেতা’ বলে প্রশংসা করেছেন, চীন বলছে, কার্যকর আলোচনা চালাতে হলে প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে। সর্বশেষ দুই নেতার সরাসরি সাক্ষাৎ হয়েছিল ২০১৯ সালে ওসাকায়। সাম্প্রতিক টেলি-যোগাযোগ হয়তো নতুন একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের ভিত্তি রচনা করবে।


