নভেম্বরে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর থেকে লেবাননের রাজধানী বৈরুতসহ দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলের এটি চতুর্থ বোমা হামলা। ঈদুল আযহার আগে বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠে ইসরায়েলি বিমান হামলা চালিয়ে লেবাননের ভূগর্ভস্থ হিজবুল্লাহর স্থাপনা ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে। হামলার আগে ইসরায়েলি সেনারা হাদাথ, হারেত হরেক ও বুর্জ আল-বারাজনেহ এলাকার বাসিন্দাদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয়।
লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন ইসরায়েলের এ আগ্রাসনকে ‘আন্তর্জাতিক চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন এবং মার্কিন ও ফ্রান্সের কাছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন। হামলাটি শান্তি চুক্তির পর থেকে সবচেয়ে বড় আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, চারটি এলাকায় আটটি ভবন লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল এবং এতে প্রায় সব বাসিন্দা এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। ইসরায়েল অভিযোগ করেছে, হিজবুল্লাহ এই স্থানে ড্রোন তৈরির জন্য ঘাঁটি তৈরি করছে যা যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন। হিজবুল্লাহ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নওয়াফ সালাম আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যেন ইসরায়েলকে আগ্রাসন বন্ধ করতে চাপ দেয়া হয় এবং লেবাননের ভূখণ্ড থেকে সরে যেতে বাধ্য করা হয়। অন্যদিকে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ যুদ্ধবিরতি নিয়ম কঠোরভাবে প্রয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন।
গত ১৪ মাসের যুদ্ধে লেবাননে চার হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যার মধ্যে অনেক বেসামরিক। যুদ্ধবিরতির পরেও ইসরায়েলের হামলায় লেবাননে শতাধিকেরও বেশি প্রাণহানি ঘটেছে, যা আশঙ্কা বাড়িয়েছে উত্তেজনা নতুন করে বৃদ্ধি পাবে।


