কেনিয়ায় এক মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে একটি ছোট সাফারি প্লেন বিধ্বস্ত হয়, যেখানে বেশিরভাগ যাত্রীই ছিলেন বিদেশি নাগরিক। বিমান সংস্থা মোম্বাসা এয়ার সাফারি নিশ্চিত করেছে যে এই দুর্ঘটনায় কোনো নেই।
বিমানটি স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে কেনিয়ার একটি পর্যটন কেন্দ্র দিয়ানি থেকে মাসাই মারা জাতীয় উদ্যানের দিকে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু উড্ডয়নের অল্প সময়ের মধ্যেই প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়।
কে ছিলেন যাত্রীরা?
মোম্বাসা এয়ার সাফারির চেয়ারম্যান জন ক্লিভ নিহতদের তালিকা প্রকাশ করেছেন। তার বর্ণনা অনুযায়ী, প্লেনটিতে মোট ১০ জন যাত্রী ছিলেন, যার মধ্যে ৮ জন ছিলেন হাঙ্গেরির নাগরিক এবং ২ জন জার্মান। এছাড়াও প্লেনটির একজন কেনিয়ান ক্যাপ্টেনও নিহত হয়েছেন। মোট ১১ জনের সকলেই মারা গেছেন।
কেনিয়া সিভিল এভিয়েশন অথরিটির বক্তব্য
কেনিয়া সিভিল এভিয়েশন অথরিটি (কেসিএএ) প্রথমে একটি বিবৃতিতে বলেছিল যে প্লেনটিতে ১২ জন যাত্রী ছিলেন। তবে তারা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। তারা নিশ্চিত করেছে যে দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে সরকারি তদন্তকারী দল ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছে।
দুর্ঘটনার চিত্র
স্থানীয় মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, ঘন জঙ্গল এবং ঝোপের মাঝে প্লেনটির পুড়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে। চিত্রগুলো বেশ ভয়াবহ।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
এই দুর্ঘটনায় হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, তার সরকার এই трагедия নিয়ে কেনিয়ার কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ রেখেছে।
কেনিয়ায় সাম্প্রতিক বিমান দুর্ঘটনা
গত আগস্ট মাসেও কেনিয়ায় একটি ছোট বিমান দুর্ঘটনার শিকার হয়। রাজধানী নাইরোবির উপকণ্ঠে একটি মেডিকেল এনজিও-র প্লেন ক্র্যাশ করে, যাতে ৬ জন নিহত এবং আরও ২ জন আহত হন। এবারের ঘটনাটি তার চেয়েও বেশি মর্মান্তিক।
