সম্প্রতি ইরান তাদের উপর যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের চালানো সামরিক হামলার আইনি দিকগুলো পর্যালোচনা করতে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। আগামী ১৬ নভেম্বর একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে ইরান, যেখানে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।

সোমবার (১০ নভেম্বর) সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসমাইল বাঘেই এই সম্মেলনের মূল আলোচ্য বিষয় তুলে ধরেন। তিনি জানান, আসন্ন সম্মেলনের মূল focus হবে জুন মাসে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার উপর চালানো যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের হামলা।

বাঘেই এই হামলাগুলোকে একতরফা আগ্রাসনের স্পষ্ট উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা আন্তর্জাতিক নীতিমালা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, তিনি উল্লেখ করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি স্বীকার করেছেন যে তিনি এই অভিযান সরাসরি পরিচালনা করেছিলেন। ইরান এই স্বীকারোক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক আগ্রাসনের স্পষ্ট প্রমাণ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘে দাখিল করেছে।

জুন ২০২৫-এর হামলার মধ্যে ছিল ইসরায়েলের সামরিক, পারমাণবিক ও আবাসিক স্থাপনার ওপর ১২ দিনের সামরিক হামলা। এর ঠিক পরেই যুক্তরাষ্ট্র ইরানের নাতানজ, ফোর্ডো ও ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়।

এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মাধ্যমে ইরান চাইছে সামরিক আগ্রাসনের জন্য দুই দেশের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে এবং আন্তর্জাতিক মহলের মনোযোগ আকর্ষণ করতে।

 

news