বাসায় বসে থাকবো তবুও ফুটবল ক্যাম্পে ফিরবো না: স্বপ্না

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকীতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে মঙ্গলবার বঙ্গমাতা পদক পেয়েছেন সাফজয়ী নারী ফুটবলাররা। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান স্বরূপ চারজন মহিয়সী নারীকে আলাদাভাবে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

পুরস্কার নিতে এসেছিলেন জাতীয় দল ছেড়ে চলে যাওয়া সিরাত জাহান, সাজেদা খাতুন, আনুচিং মোগিনীরাও। পুরস্কার নিলেও ক্যাম্পে আর ফিরবেন না সাফজয়ী দলের স্ট্রাইকার সিরাত জাহান স্বপ্না ।

তিনি বলেন, বাসায় বসে থাকবো, তবুও জাতীয় দলের ক্যাম্পে আর ফিরবো না। নতুনদের সুযোগ দিতেই আমি ক্যাম্প ছেড়েছি । খেলা ছেড়ে কোচিংয়ে আসার ইচ্ছা আছে কি না এই প্রসঙ্গে স্বপ্না বলেন, এখনো কোচিং কোর্সও করিনি। আপাতত ইচ্ছে নেই।

সাফ জেতার পর এ নিয়ে তিনবার প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নিলেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। গত শনিবারও পেয়েছেন শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার। তিন পুরস্কারের মধ্যে কোনটার অনুভূতি কেমন এমন প্রশ্নের উত্তরে সাবিনা বলেন, আসলে প্রত্যেকটি পুরস্কারই আমার কাছে সেরা মনে হয়। কারণ প্রত্যেকটিরই আলাদা মর্যাদা রয়েছে।

আজ আরেকটি পুরস্কার পাওয়ার পর সহ-অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা বলেন, আমার কাছে এই (বঙ্গমাতা) পুরস্কারটাই আনন্দের। কারণ এখানে অনেক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। উনাদের সামনে থেকে নিতে পেরেছি।

২৩ সদস্যের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে চেক, একটি পদক ও সনদ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাফজয়ী দলে ২৩ জন থাকলেও কাল উপস্থিত ছিলেন ২১ জন। ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন চীনে থাকায় এবং গোলকিপার ইতি খাতুন অসুস্থ থাকায় আসতে পারেননি। প্রত্যেকের হাতে এক লাখ টাকার চেক, একটি করে পদক ও সম্মাননা সনদ দেওয়া হয়।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাফুফের কাছ থেকে ৩৪ জনের পুরো কন্টিনজেন্টের তালিকা নিয়েছিল। কোচিং স্টাফ, কর্মকর্তাদের কাউকে ক্রেস্ট, পদক দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে ফেডারেশন ও মন্ত্রণালয়ের মধ্যে গত দুই দিন অনেক আলোচনা হয়েছে। কর্মকর্তাদের কোনো পদক, ক্রেস্ট না থাকায় অনেকে যাননি।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা  

এনবিএস/ওডে/সি

news