আমিই একমাত্র বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার যাকে নিজের ক্লাব সম্মানিত করেনি: মেসি
পিএসজিতে দুটি বছর যে কতটা খারাপ কেটেছে, তা আরো একবার প্রকাশ করলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি লিওনেল মেসি। সমর্থকগোষ্ঠীর লাঞ্ছনা গঞ্জনা তো ছিলই, ক্লাবের ভেতরেও একটা গুমোট অবস্থার মধ্যে দিয়ে গেছেন। বিশেষ করে বিশ্বকাপ জেতার পর থেকে। মেসি বললেন, কেবল তিনিই তার ক্লাবের কাছে বিশ্বকাপ জয়ের স্বীকৃতি পাননি, যেখানে তার অন্য আর্জেন্টাইন সতীর্থদের সম্মানিত করা হয়েছে।
কাতার বিশ^কাপের ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে দুটি গোল করেন মেসি। উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচটি টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জিতে নেয় আর্জেন্টিনা।
দেশকে বিশ্বকাপ জেতানোর পর প্যারিসে ফিরে যান মেসি। তারপরের অবস্থা সম্পর্কে ইএসপিএন’র মিগুয়ে গ্রানাডোসকে তিনি বললেন, আমিই ২৫ জনের মধ্যে একমাত্র খেলোয়াড় ছিলাম, যে নিজের ক্লাব থেকে কোনো স্বীকৃতি পাইনি। এটা বোধগম্য ছিলো। আমাদের (আর্জেন্টিনা) জন্য তারা (ফ্রান্স) বিশ্বকাপ ধরে রাখতে পারেনি।
গত জুনে চুক্তির মেয়াদ শেষে পিএসজি ছাড়েন মেসি। প্যারিসে মানিয়ে নিতে বেশ কষ্ট হয়েছিল তার। পিএসজির কিছু সমর্থকগোষ্ঠীর সঙ্গে দুর্বিষহ অভিজ্ঞতার কথা স্বীকার করেছেন মেসি। তিনি বলেন, এমন কিছু আমি প্রত্যাশা করিনি। কিন্তু আমি সবসময় বলি যে কোনো কিছু ঘটার পেছনে কারণ থাকে। ওখানে আমি ভালো ছিলাম না, কিন্তু ওখানে থাকতেই আমি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছি।
এখনই অবসরের কোনো ভাবনা নেই মেসির। এই বিষয়ে তিনি বলেন, আমি অবসর নিয়ে এখনো ভাবিনি । আমি ভাবতে চাইও না। কারণ আমি যেটা উপভোগ করি, সেটা চালিয়ে যেতে চাই। ইউরোপ ছেড়ে এসে আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছি। এখনই পরের ধাপ নিয়ে ভাবতে চাই না।
তিনি আরো বলেন, আমি কোপা আমেরিকা নিয়ে ভাবতে পারি। তারপর আমরা দেখবো, সেটা নির্ভর করছে আমি কেমন বোধ করি তার ওপর। দিনকে দিন আমার অবস্থা কোথায় দাঁড়ায় সেটা দেখবো, এখনও তিন বছর আছে। আমার খেলার মান কমে গেছে, সেটা এখনো বোধ করি না। আমি একইভাবে খেলি এবং থামি। কিন্তু বাস্তবতা হলো আমার বয়স বাড়ছে। হাজারো ম্যাচ খেলে এসেছি এবং সবার জন্যই সময় বয়ে যায়।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি


