‘টাইমড আউট’ ইস্যুতে সাকিবের বিপক্ষে ভিভ রিচার্ডস, পক্ষে ডি সিলভা

বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান সেদিন গোটা পৃথিবীকে দুই ভাগে ভাগ করে ফেলেছিলেন। কাউকে তার পাশে পেয়েছেন তো কেউ আবার নিয়েছিলেন চরম বিরোধী অবস্থানও। ভারত-নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনালের আগের রাতে মুম্বাইয়ের এক পাঁচ তারকা হোটেলের জমকালো আয়োজনেও থাকলেন তেমন দু’জন। একজন সাকিবের পক্ষে তো আরেকজন বিপক্ষে।

সেই দু’জন তাদের নিজ নিজ সময়ে ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষের বোলিংকে ছিন্নভিন্ন করতে জানা স্যার ভিভ রিচার্ডস এবং অরবিন্দ ডি সিলভা। আইসিসির ‘হল অব ফেম’-এ সম্প্রতি অন্তর্ভূক্ত হওয়া ডি সিলভা, বীরেন্দর শেবাগ এবং ভারতের নারী ক্রিকেট জাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ ডায়ানা এডুলজিদের বরণ করে নেওয়ার আয়োজনে ভিভ ছিলেন বিশেষ অতিথি। কালেরকণ্ঠ

সেই অনুষ্ঠান শেষে বিশ্বকাপের বাংলাদেশকে নিয়ে প্রশ্ন করতেই এই ক্যারিবীয় কিংবদন্তি ফিরে গেলেন ৬ নভেম্বরের বিকেলে। যেদিন দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের বিপক্ষে ‘টাইমড আউট’-এর আবেদন করে একই সঙ্গে বিতর্কিতও হন সাকিব।

তার ওই কাণ্ড নিয়ে নিজের ভালো না লাগা প্রকাশেও দ্বিধাহীন ভিভ বলেন, সাকিব সেদিন যা করেছে, তা আমি একদমই পছন্দ করিনি। আমার ভালো লাগেনি তা। ওই ঘটনায় ক্রিকেটীয় চেতনাকেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেখেছেন ক্যারিবীয় মাস্টার ব্লাস্টার, ‘হ্যাঁ, এটি ঠিক যে তা নিয়মের মধ্যেই আছে। সেদিক থেকে সাকিব ঠিক।

তবে খেলাটির চেতনা বা এই ধরনের ভাবনা থেকে কাজটি সে ঠিক করেনি। যদিও একই দিনে একই জায়গায় উপস্থিত অরবিন্দ ডি সিলভা বাংলাদেশ অধিনায়ককে কৃতিত্ব দেওয়ার কারণই খুঁজে পেয়েছেন। সাকিবের ‘গেম অ্যাওয়ারনেস’ বা সচেতনতার প্রশংসাও করেছেন এই শ্রীলঙ্কান, এটি তো নিয়মের মধ্যেই আছে। আমার মনে হয়, আমাদের বরং সাকিবকে কৃতিত্বই দেওয়া উচিত। কারণ সে পরিস্থিতি বুঝতে পেরেছে এবং আবেদনও করেছে।

পরিস্থিতি নিয়ে সে বেশ সচেতনই ছিল। সেদিক থেকে কৃতিত্ব ওর প্রাপ্যই। তাই বলে ক্রিকেটীয় চেতনার বিষয়টিও অস্বীকার করেননি ডি সিলভা, তবে স্পোর্টিং ম্যানারের কথা যদি বলেন, তাহলে আমার মনে হয় এসব ক্ষেত্রে দুইবার ভাবা উচিত। আর আম্পায়ারদেরও উচিত ছিল ব্যাপারটি সামলানো। সত্যিকারের পরিস্থিতি বুঝে তারা আরো বেশি প্র্যাকটিক্যাল হতে পারতেন।

news