অল্পের জন্য শ্যুটার রবিউলের অলিম্পিক কোটা হাতছাড়া
আর্চারী তারকা রোমান সানা সরাসরি টোকিও অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। তবে আসন্ন প্যারিস অলিম্পিকে খেলার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেননি বাংলাদেশের কোনো ক্রীড়াবিদ। তবে অল্পের জন্য ভাগ্য বঞ্চিত হয়েছেন শ্যুটার রবিউল ইসলাম।
এদিকে ঢাকাপোস্ট অনলাইন জানায়, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় চলছে এশিয়ান শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশীপ। এশিয়ান শুটিংয়ের শ্রেষ্ঠত্বের পাশাপাশি জুলাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য অলিম্পিকে এশিয়ান শ্যুটিংয়ের কোটা নিশ্চিতের মঞ্চ। বুধবার ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে বাংলাদেশের শ্যুটার রবিউল ইসলাম ৬২৮.০ স্কোর করেছেন। তার এক ধাপ উপরে থাকা ইন্দোনেশিয়ার শ্যুটার ফাতহুর ৬২৮.৩ স্কোর নিয়ে চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
চূড়ান্ত পর্বে আট জনের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ান ফাতহুট ছাড়া চীন, কোরিয়া ও ভারতের শ্যুটার। এই দেশের শ্যুটাররা ইতোমধ্যে অলিম্পিক কোটা নিশ্চিত করেছেন। তাই এই তিন দেশের বাইরে থেকে চুড়ান্ত পর্বে চতুর্থ হওয়া ইন্দোনেশিয়ার ফাতহুর অলিম্পিক কোটা পেয়েছেন এমনটাই জানা গেছে বাংলাদেশ শ্যুটিং ফেডারেশন সূত্রে।
বাংলাদেশের রবিউল প্রাথমিক রাউন্ডে ইন্দোনেশিয়ার ফাতহুরের চেয়ে মাত্র ০.৩ স্কোর পেছনে ছিলেন। রবিউল চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ হলে তিনিও কোটা নিশ্চিতের লড়াইয়ে থাকতেন। রবিউলের সরাসরি নিজ যোগ্যতায় অলিম্পিকে নাম লেখানোর পথ বন্ধ হলেও অলিম্পিক খেলার সম্ভাবনা এখনো রয়েছে। বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন শ্যুটার রবিউল ও শায়রা আরেফিনের নাম আইওসির কাছে আবেদন করেছে ওয়াইর্ল্ড কার্ডের জন্য। রবিউলের এই পারফরম্যান্স ওয়াইল্ড কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রাখবে।
এশিয়ান শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশীপে বাংলাদেশের আগ্রহ ছিল রাইফেল ইভেন্ট ঘিরেই। পিস্তল ও মিশ্র ইভেন্টে দুই দিন হতাশার গিয়েছিল বাংলাদেশের। বুধবার সম্ভাবনার রাইফেল ইভেন্টে রবিউল ছাড়া ভালো করতে পারেননি অন্যরা। পুরুষ বিভাগে জিদান হোসেন ৬২৫.৪ স্কোর গড়ে ২১ তম এবং শারার অর্ণব ৬২৩.৩ স্কোর গড়ে ৩২ তম হয়েছেন। নারী বিভাগে শায়রা আরেফিন ৬২৬.৮ স্কোর গড়ে ১৮ তম, চৌধুরী জাফিরা ৬২৫.১ স্কোর গড়ে ২৭ তম, কামরুননাহার কলি ৬২৪.০ স্কোরে ৩৪ তম হন।
এশিয়ান শুটিং চ্যাম্পিয়নশীপে বাংলাদেশেল সব ইভেন্টই শেষ। দ্রুতই দেশে ফিরবে বাংলাদেশ দল। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি


