নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশের বাইরে যাবে না: আসিফ মাহমুদ
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশের বাইরে যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। বিশ্বকাপ আয়োজনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। অক্টোবরে ঘরের মাঠে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করবে বাংলাদেশ। তবে সরকার পতন ও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের অনেকেই এখন আড়ালে। দেশের নিরাপত্তা নিয়েও রয়েছে শঙ্কা। যার কারণে বিশ্বকাপের মতো মেগা ইভেন্ট হাতছাড়া করতে পারে বাংলাদেশ।
সম্প্রতি দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আসিফ বলেন, ‘নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের বিষয়টি আমার চোখে পড়েছে। আমি এখন থেকেই তৎপরতা শুরু করেছি। আশা করি, এটা বাংলাদেশের বাইরে যাবে না। দেশ গঠনের সময়ে যদি এ রকম কিছু ঘটে, তাহলে সেটা আমাদের ভাবমূর্তির জন্য খুবই ক্ষতিকর হবে। আমাদের সৌভাগ্য, ইউনূস স্যার আছেন সঙ্গে। আমাদের যেসব বিনির্মাণ করা প্রয়োজন, সচিবের কাছে কিছু কিছু শুনেছি। সেসব সংস্কারের জন্য আমরা রোববারেই বসবো।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমি সচিবদের সঙ্গে বসব। মন্ত্রণালয়ে বসে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যার আমাদের নেতৃত্বে আছেন, যিনি নিজেও ক্রীড়াপ্রেমী। তিনি কদিন আগে অলিম্পিকের সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন। তার সঙ্গে কথা বলে আশা করি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আমাদের দেশেই ঠিকঠাক আয়োজন করতে পারব। এটা আয়োজনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।’
এদিকে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিশ্চয়তা পাওয়ার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের কাছে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিসিবি পরিচালক ও আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি টুর্নামেন্ট আয়োজন করার। সত্যি বলতে আমরা খুব বেশি লোক দেশে নেই। বিশ্বকাপের জন্য নিরাপত্তা চেয়ে সেনাপ্রধানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে আমাদের হাতে আর মাত্র দুই মাস সময় আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আইসিসি আমাদের সঙ্গে দুই দিন আগে যোগাযোগ করেছিল। আমরা তাদের বলেছি দ্রুত সময়ের মধ্যে জানাবো। অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে, তবুও তাদেরকে নিশ্চয়তা দিতে হবে। এটা আমরা দিতে পারব না, এটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিতে হবে। এজন্য সেনাপ্রধানকে চিঠি দিয়েছি।’