বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে দেশে ফিরেই আবারও বড় সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে নিগার সুলতানা জ্যোতির নেতৃত্বাধীন দল যাচ্ছে ভারতে, যেখানে তারা খেলবে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এই সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে। সূচি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা না হলেও, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়েছে—সিরিজটি আয়োজনের প্রাথমিক প্রস্তুতি চলছে।
২০১৩ সালের এপ্রিলের পর এই প্রথমবার ভারতের মাটিতে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এক যুগ আগের সেই সফরে সালমা খাতুন ও জাহানারা আলমরা কোনো ম্যাচ জিততে পারেননি। তবে এর পরের সময়গুলোতে দুই দলের মধ্যে বেশ কয়েকটি লড়াই হয়েছে।
গত বছর (২০২৩) ভারত এসেছিল বাংলাদেশ সফরে। মিরপুরে অনুষ্ঠিত সেই সিরিজে ছিল তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। তবে এখনো পর্যন্ত ভারতের বিপক্ষে খুব একটা ভালো করতে পারেননি জ্যোতিরা। নারী বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচেও ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ, কিন্তু বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়।
এবার আবারও হারমানপ্রীত কৌর ও স্মৃতি মান্ধানাদের বিপক্ষে মাঠে নামার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশের মেয়েরা। সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে আলোচনায় আছে কলকাতা ও কোটা। ওয়ানডে সিরিজটি আইসিসি উইমেন্স ওয়ানডে চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে গণ্য হবে।
বিসিবির একজন কর্মকর্তা জানান,
“সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ১৪-১৫ ডিসেম্বরের দিকে ভারত সফরের পরিকল্পনা আছে। আমরা স্বাগতিকদের সেই অনুযায়ী সূচি চূড়ান্ত করতে বলেছি।”
ভারত সফরের আগে বাংলাদেশ দল বিকেএসপি মাঠে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) খেলবে। তবে সেই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবেন না অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি, যিনি বিশ্বকাপের আগেই ছুটি নিয়েছেন।
এছাড়া ইনজুরির কারণে খেলতে পারবেন না নাহিদা আক্তার, আর ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের অংশ হিসেবে বিশ্রামে থাকবেন মারুফা আক্তার।
বাংলাদেশ নারী দলের এই সফরকে ঘিরে ক্রিকেটপ্রেমীদের আগ্রহ ইতিমধ্যেই তুঙ্গে। কারণ ভারতের বিপক্ষে সবশেষ সিরিজগুলোতে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেললেও জয় ছিল ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এবার কি সেই ইতিহাস বদলাবে?
