চট্টগ্রামের বিরুদ্ধে নব্বই রানের টার্গেটে ব্যাট করছে সিলেট

শুরু থেকেই দাপুটে বোলিং করলেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের পেসাররা। তাতে রক্ষণাত্মক ব্যাটিংয়ের খোলসে ঢুকে পড়লো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আর সেই সুযোগে টপাটপ উইকেট তুলে নিলেন মোহাম্মদ আমির, রেজাউর রহমানরা। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি চট্টগ্রামের ব্যাটাররা। ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে তারা সংগ্রহ করতে পেরেছে মাত্র ৮৯ রান।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে শুক্রবার মুখোমুখি হয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টসে জিতে চট্টগ্রামকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন সিলেট দলপতি মাশরাফি।  

ব্যাটিংয়ে নেমে চট্টগ্রাম ৪৭ রানেই হারায় ৫ উইকেট। দলীয় ১১ রানে ওপেনার মেহেদী মারুফের (১১) রানআউটের মাধ্যমে দলটির বিপর্যয়ের শুরু। এরপর দারউইস রাসুলিকে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানান সিলেটের পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমির।

চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত হোমকে (১) সাজঘরে পাঠান রেজাউর রহমান রাজা। বোলিংয়ে এসে স্পিনার কলিন অ্যাকারমান বিদায় করেন তিনে নামা আল-আমিনকে (১৮)। ২০ বল মোকাবিলা করা এই ব্যাটারকে স্ট্যাম্পিং করেন মুশফিক। এরপর রাজার দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন উসমান খান (২) ও উন্মুক্ত চাঁদ (৫)। ৬২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা চট্টগ্রাম কার্যত আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।  

মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীকে বিদায় করে উইকেটের দেখা পান অভিজ্ঞ পেসার মাশরাফি। এরপর উইকেটে থিতু হয়ে বসা আফিফ হোসেনকে (২৫) উইকেটরক্ষক মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে বিদায় করে নিজের দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পান পাকিস্তানি পেসার আমির। আর নিজের শেষ ওভারে নাহিদুজ্জামানকে (৮) ফিরিয়ে ম্যাচে নিজের চতুর্থ উইকেট তুলে নেন রাজা।

বল হাতে ৪ ওভারে ১৪ রান খরচে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন রেজাউর রহমান রাজা। আর সমান ওভারে এক মেডেনসহ মাত্র ৭ রান খরচে ২ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন আমির। এছাড়া মাশরাফি ও অ্যাকারমান নিয়েছেন ১ টি করে উইকেট। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১২ রান করে সিলেট।

এনবিএস/ওডে/সি

news