চট্টগ্রামের নাগরিক সমাজ দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে দ্রুত উত্তরণের দাবি জানিয়েছে। গতকাল চান্দগাঁওয়ে আইএসডিই বাংলাদেশ, ক্লিন ও বিডাব্লিউজিইডির যৌথ আয়োজনে এক সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের জন্য এখন নবায়নযোগ্য জ্বালানিই একমাত্র টেকসই সমাধান। তবে পুরনো অবকাঠামো, জটিল অনুমোদন প্রক্রিয়া, উচ্চ বিনিয়োগ ঝুঁকি এবং অপর্যাপ্ত নীতিমালার কারণে এই খাতের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

ক্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, "একটি সবুজ ভবিষ্যৎ গড়তে নীতিমালা সংস্কার জরুরি। এটি শুধু প্রযুক্তিগত বিষয় নয়, বরং টেকসই জীবনযাপন, জলবায়ু সহনশীলতা এবং জাতীয় উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য।" তিনি নবায়নযোগ্য শক্তির জন্য আলাদা সেবা কেন্দ্র, স্মার্ট গ্রিড প্রযুক্তি চালু, বিদ্যুৎ বাজেটের ২০% নবায়নযোগ্য শক্তিতে বরাদ্দ এবং ব্যাংকগুলোর ঋণের ২৫% এই খাতে বরাদ্দের দাবি তোলেন।

ফোরাম অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, "জলবায়ু ঝুঁকির প্রথম সারিতে থাকা আমাদের মতো অঞ্চলের জন্য নবায়নযোগ্য শক্তিই একমাত্র ভরসা। আমাদের অবকাঠামো ও নীতিমালার সংস্কার করে এখনই এগিয়ে যেতে হবে।"

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এম নাসিরুল হক, নারী নেত্রী জেসমিন সুলতানা পারু, ক্যাব নেতা আবদুল মান্নান, সুবজের যাত্রার সায়রা বেগমসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। তারা নবায়নযোগ্য জ্বালানির পথে সব বাধা দূর করে একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ার দাবি জানান।

এই আন্দোলন শুধু চট্টগ্রামেই সীমাবদ্ধ নেই, দেশব্যাপী এটি একটি সামাজিক দাবিতে পরিণত হয়েছে। নাগরিক সমাজের এই জোরালো কণ্ঠস্বর নীতিনির্ধারকদের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করবে বলে আশা করা যায়।

#নবায়নযোগ্য_শক্তি #জ্বালানি_নিরাপত্তা #টেকসই_ভবিষ্যৎ #জলবায়ু_সহনশীলতা #সবুজ_বাংলাদেশ

news