সেই তো নথ খসালি, তবে কেন লোক হাসালি!
মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ এনে গত বৃহস্পতিবার ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে চিত্রনায়িকা মিষ্টি জান্নাতকে আইনি নোটিশ দেন আরেক নায়িকা তমা মির্জা। মিষ্টি জান্নাতও হাঁটেন একই পথে। সোমবার মানহানির অভিযোগ এনে তমা মির্জার বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে পাল্টা আইনি নোটিশ পাঠান মিষ্টি জান্নাত।
এ নিয়ে সামাজিকমাধ্যম, গণমাধ্যম ও সিনেমাপাড়ায় ব্যপক সমালোচনা শুরু হয়। তবে মঙ্গলবার শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে মিশা সওদাগরের মধ্যস্থতায় তাদের দ্বন্দ্বের অবসান হয়েছে। এরপর তমা মির্জা বলেছেন, ‘মিষ্টি জান্নাত আমার ছোট বোন। আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিলো। তার অবসান হয়ে গেছে। দিনশেষে আমরা শিল্পী। আমাদের অভিভাবক শিল্পী সমিতি। তাদের মাধ্যমে পুরো বিষয়টির সুন্দর সমাধান হয়েছে। ধন্যবাদ শিল্পী সমিতিকে।’
মিষ্টি জান্নাত বলেন, ‘বাবা-মায়ের মতো অভিভাবক শিল্পী সমিতি। সমিতি আমাদের দ্বিতীয় পরিবার। তাদের উপস্থিতিতে সুন্দর সমাধান হয়ে। তমা আপু আমার খুব কাছের। ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমন হয়েছে। আশা করব, ভবিষ্যতে এমন কিছু হবে না যাতে শিল্পীরা ছোট হয়।’
এ প্রসঙ্গে মিশা সওদাগর বলেন, যে বিষয়টি হয়েছে ঠিক হয়নি। দুজনে ভুল বুঝতে পেরেছে। শিল্পী সমিতির মাধ্যমে পুরো বিষয়ের অবসান হয়েছে।
এই দুই নায়িকার যে মানহানি হয়েছিলো তা যেনো একদিনেই তারা ফিরে পেলেন। মঙ্গলবার শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে মিশা সওদাগরের মধ্যস্থতায় তমা-মিষ্টির মিলে যাওয়া যেনো সেই কথাই বলছে। দুদিন আগেই যারা একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে কামান দাগাচ্ছিলেন, সেই তারাই যখন বোন-বন্ধু বলে গলাগলি ধরছেন, তখন প্রশ্ন উঠেছে তাদের মান এবং মানহানি নিয়েও! তাদের এমন দ্বন্দ্ব ও মিলে যাওয়া নিয়ে ‘সেই তো নথ খসালি, তবে কেন লোক হাসালি!’ প্রবচণকেও সামনে টেনে আনছেন।
অনেকেই বলছেন আলোচনায় থাকতেই এসব করছেন তারা। সমালোচকদের এমন মন্তব্য একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না। দন্ত চিকিৎসক মিষ্টি জান্নাত নায়িকা হয়ে দশটির মতো ছবি করলেও তার একটিও আলোচনায় আসেনি। তার হাতেও তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো কাজ নেই। অনেকে এই নায়িকার নাম শোনেননি বলেও দাবি করছেন। অপরদিকে শোবিজে আগে আসা তমা মির্জার ঝুলিতে একটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার রয়েছে। সর্বশেষ এক বছর আগে এই নায়িকা সুরঙ্গ ছবিতে আফরান নিশোর বিপরিতে অভিনয় করে কিছুটা আলোচনায় এলেও জানা গেছে বর্তমানে তার হাতেও উল্লেখ করার মতো কোনো সিনেমা নেই। তাই বিতর্কই যেনো টিকে থাকার অন্যতম ভরসা।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
এনবিএস/ওডে/সি