'বীরাঙ্গনা ৭১' ছবিতে আমি মম দিয়ে অভিনয় করেছি: শিরিন শীলা
মুক্তিযুদ্ধে বীরাঙ্গনাদের দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের মহিমাগাথা নিয়ে নির্মিত ‘বীরাঙ্গনা ৭১’। সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে বছরের শেষ শুক্রবার ৩০ ডিসেম্বর।
শহিদুল ইসলাম শহিদের গল্পে, এম সাখাওয়াত হোসেনের সংলাপ, চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন শিরিন শিলা, শাহেদ শরীফ, সুমনা সোমা, ইমতু রাতিশ, প্রাণ রায়, আহমেদ সাব্বীর রোমিও প্রমুখ। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে এসএস ফিল্ম ইন্টারন্যাশনাল।
বীরাঙ্গনা ৭১ সিনেমা মুক্তি উপলক্ষে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে আসেন চলচ্চিত্রটির নির্মাতা, শিল্পী, কলাকুশলীরা, সেখানে চলচ্চিত্র নির্মাতা কাজী হায়াত ও মুশফিকুর রহমান গুলজারও উপস্থিত ছিলেন।
ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন। চিত্র নায়িকা শিরিন শিলা। শিরিন শিলা বলেন, 'বীরঙ্গনা ৭১' মুক্তিযুদ্ধের ছবি। বিজয়ের মাসে ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে। ২০২২ সালের শেষ শুত্রুবার ৩০ ডিসেম্বর। এটিও একটি স্মরণীয় দিন।
তিনি বলেন, আমি এই ছবিতে মন দিয়ে অভিনয় করেছি। মুক্তিযুদ্ধের ছবি। অনুভূতি ছিলো অন্য রকম।
অভিনেত্রী শিরিন শিলা বলেন, আমার বড় সৌভাগ্য ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেই বীরঙ্গনা চরিত্রে অভিনয় করতে পেরেছি। তাদের ত্যাগ, দুঃখ, দুর্দশা কতটুকু ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি তা দর্শক বলতে পারবে। আমার ভীষণ ভালো লাগছে। প্রথম সিনেমা হলে বসে দেখার জন্য অপেক্ষা করছি।
দর্শকদের উদ্দেশে শিলা বলেন, আপনরা হলে এসে আমাদের সিনেমাটা দেখবেন। কেমন লেগেছে জানাবেন।
সিনেমাটি নিয়ে নির্মাতা শাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, একাত্তরের উত্তাল সময়ে এদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জয়বুন নামের এক নারীর বীরত্বের গল্প ‘বীরাঙ্গনা ৭১’। দেশের জন্য তার ত্যাগ, বীরত্ব এ গল্পকে করেছে আরও স্পর্শকাতর।
তিনি বলেন, এ সিনেমায় ফুটে উঠেছে ক্যাম্পে পাক হানাদারদের নারীর প্রতি চরম অসম্মানের রোমহর্ষক চিত্র। পাশাপাশি আজকের প্রজন্মের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সম্মান ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে যুদ্ধশিশুকে বরণ করে নেওয়ার এক আবেগী উপাখ্যান।
সংবাদ সম্মেলনে বরেণ্য পরিচালক কাজী হায়াত বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটের ছবি সাধারণত সরকারি অনুদানে নির্মিত হয়। কেউ গাটের পয়সা খরচ করে এ ধরনের ছবি বানায় না। এসএস ফিল্ম ইন্টারন্যাশনালকে ধন্যবাদ এমন গল্পের একটা সিনেমায় লগ্নি করার জন্য।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। অনেক শিশু জানেই না মুক্তিযুদ্ধ কী, কী ঘটেছিল সে সময়। এ ধরনের চলচ্চিত্রই পারে ইতিহাসকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে।”
পরিচালক সমিতির সাবেক সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন এভাবে মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলে যেতে হবে। এই সিনেমার নির্মাতা, শিল্পী, কলাকুশলীদের সাধুবাদ জানাই মুক্তিযুদ্ধের গল্প তুলে ধরার জন্য। দর্শকদের বলব, আপনারা হলে গিয়ে সিনেমাটা দেখবেন। তাহলে এ ধরনের গল্পে কাজ করতে আগ্রহী হবে অন্য নির্মাতারা।
ছবির প্রযোজক শহিদুল ইসলাম শহিদ জানিয়েছেন ১০/১৫ টির বেশি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘বীরাঙ্গনা ৭১’। বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্সে, যমুনা ব্লকবাস্টার, লায়ন সিনেপ্লেক্সে, চিত্রা মহল এর মধ্যে রয়েছে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বীরাঙ্গনাদের অবদান অতুলনীয়। কাদের প্রতি সম্মান জানাতেই এই ছবিটি প্রযোজনা করেছি। নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতে আমার প্রযোজনা সংস্থার ক্ষুব্ধ প্রয়াস।
এছাড়া প্রাণ রায়, শাহেদ শরীফ অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন।
এনবিএস/ওডে/সি