অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশ জারি করবে বাইডেন প্রশাসন
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজের এক সিনিয়ার কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মনটেরি পার্কের সহিংসতা পর প্রেসিডেন্ট এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছেন। এর আগে গত গ্রীষ্মে অস্ত্র আইনে ক্রেতার কোনো ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছিল
চলতি বছরের জানুয়ারিতে নববর্ষ পালনের সময় লস এনজেলসের একটি নাচের অনুষ্ঠানে বন্দুকধারীর হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছিলেন। এরপর থেকেই বাইডেন তথাকথিত পুরোনো অস্ত্র আইন সংষ্কারের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে কাজ শুরু করতে বলেন। তবে ওবামা প্রশাসনের সময় ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ে তিনি এ ইস্যুতে কোনো কথা বলেননি।
সম্প্রতি ইউনিয়ন স্টেট ভাষণে মনটেরির ওই ঘটনায় ২৬ বছর বয়সী ব্রান্ডনের সাহসিকতার জন্য ভূয়সী প্রশংসা করেন বাইডেন। সেসময় ব্রান্ডন বন্দুক ধারীর প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেন।
আরেক ঘটনায় নিউইয়র্কের একটি দোকানে একইভাবে এক বন্দুক হামলায় ১০ জন নিহতের ঘটনা ঘটেছিল। এছাড়াও টেক্সাসের এলিমেনটারি স্কুলেও ১৯ শিক্ষার্থী ও ২ শিক্ষক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
প্রেস সেক্রেটারি কেরিন জিন পিয়েরে জানান, অস্ত্র আইন লঙ্ঘনের মধ্যদিয়ে অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন দেশটিতে। এতে বাইডেন অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। তিনি বিশ্বাস করেন এবার অনেক কিছু করার রয়েছে।
এ লক্ষ্যে বাইডেন তার মন্ত্রী পরিষদকে একটি সঠিক আইনি কাঠামো প্রস্ততের পাশাপাশি আইনশৃংখলা বাহিনীকে নতুন আইনটির বিষয়ে অবহিত করতে বাইডেন তার মন্ত্রীসভাকে নির্দেশও দিয়েছেন।
অস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যুতে আবেদনকারীর সব কিছু খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়ে নিয়মটি বাস্তবায়নে তদারকি করতেও এরইমধ্যে অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছেন বাইডেন।
গত বছর সেইফার কমিউনিটিজ অ্যাক্টে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিধান রেখে জারি করা হলেও তা খুব বেশী দূর যেতে পারেনি। আইনটি স্বাক্ষরের পর আরো ১১ টি বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে দেশজুড়ে।
এপি, ইউ এস এ টুডে জানিয়েছে, ২০০৬ সাল থেকে এসব বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে আসছে দেশটিতে।
এভরিটাউনের অস্ত্র নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান এক প্রতিক্রিয়ায় জানান, বাইডেনের এমন উদ্যোগ জননিরাপত্তার স্বার্থে খুব জরুরী। এটি তার নেতৃত্বের একটি সঠিক দিক নির্দেশনা আর এই কাজে তার সঙ্গে থাকায় আমরা আমরা গর্বিত।
নির্বাহী আদেশটি জারি হলে দুষ্কৃতকারীরা চাইলেও অস্ত্র কিনতে পারবে না। এমনকি নাগরিকদের জীবন রক্ষাতেও এটি সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এনবিএস/ওডে/সি