আফ্রিকার ৬ দেশকে বিনামূল্যে শস্য দেবে রাশিয়া: পুতিন

রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে রাশিয়া–-আফ্রিকা দুদিন ব্যাপী সম্মেলন শেষ হচ্ছে শুক্রবার (২৮ জুলাই)। এ সম্মেলন ঘিরে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পশ্চিমা চাপে থাকা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আফ্রিকার দেশগুলোর সমর্থন ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার আফ্রিকার ছয়টি দরিদ্র দেশকে এ প্রতিশ্রুতি দেন পুতিন। দেশগুলো হল, বুরকিনা ফাসো, জিম্বাবুয়ে, মালি, সোমালিয়া, মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র ও ইরিত্রিয়া। দেশগুলো বিনামুল্যে ২৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টন খাদ্যশস্য পাবে।

এই প্রতিশ্রুতির কিছুদিন আগে ইউক্রেন থেকে কৃষ্ণসাগর দিয়ে খাদ্যশস্য রপ্তানির একটি চুক্তি থেকে সরে আসে মস্কো। ওই চুক্তির আওতায় কৃষ্ণসাগর হয়ে আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে শস্য সরবরাহ করা হচ্ছিল। এভাবে এক বছরের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনের বন্দরগুলো থেকে প্রায় ৩ কোটি ৩০ লাখ টন শস্য রপ্তানি করা হয়েছে। বিশ্বে খাদ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে এই চুক্তি বড় সহায়তা করেছিল।

সম্মেলনে যোগ দেওয়া আফ্রিকার নেতাদের উদ্দেশে চুক্তির বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। রাশিয়া চুক্তি থেকে সরে গিয়ে দরিদ্র দেশগুলোকে যে সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে, তা নিয়ে আফ্রিকার নেতাদের প্রশ্ন করার আহ্বান জানান তিনি। নিউজিল্যান্ড সফরের সময় ব্লিঙ্কেন বলেন, তারা জানেন বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়টা আসলে কার।

রাশিয়া-–আফ্রিকা সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসাসহ মহাদেশটির ১৭ নেতার অংশ নেন। এবার দ্বিতীয়বারের মতো এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল। এর আগে ২০১৯ সালে রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে সোচি শহরে প্রথম রাশিয়া– আফ্রিকা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তখন আফ্রিকার ৪৩টি দেশের নেতারা অংশ নেন।

সম্মেলনের এক অধিবেশনে পুতিনের সঙ্গে একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারপারসন আজালি আসোউমানি। এ সময় দেওয়া ভাষণে তিনি ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে ‘শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের’ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এতে করে এই দুই দেশের খাদ্যের ওপর নির্ভরশীল মানুষের জীবন বাঁচবে।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news