প্রাণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের বই পড়তে উৎসাহ করায় সমালোচিত মার্কিন অধ্যাপক

 সেই মার্কিন অধ্যাপকের নাম পিটার সিঙ্গার। প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োইথিকসের এই অধ্যাপক তার এক্স অ্যাকাউন্টে এ সংক্রান্ত একটি প্রবন্ধের লিংক শেয়ার করে সবাইকে তা পড়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন।

পিটার সিঙ্গার একজন প্রাণী অধিকারকর্মী এবং জার্নাল অব কন্ট্রোভার্সাল আইডিয়াসের সহপ্রতিষ্ঠাতা। সেই জার্নালেই সম্প্রতি একটি গবেষণা প্রকাশ করেছে যেখানে প্রাণীর সঙ্গে মানুষের শারীরিক সম্পর্কে নৈতিকভাবে অনুমোদিত বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। পিটার বলেন, এই প্রবন্ধ প্রাণির সঙ্গে মানুষের যৌন সম্পর্ক ঘিরে যে সামাজিক প্রচলিত ধারণা আছে তাকে চ্যালেঞ্জ করে।

 এক্স এ দেওয়া পোস্টে অধ্যাপক সিঙ্গার বলেন, ‘জুফিলিয়া (প্রাণিদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক) নৈতিকভাবে অনুমোদিত’ শীর্ষক প্রবন্ধটি জার্নাল অব কন্ট্রোভার্সল আইডিয়াসে প্রকাশিত হয়েছে। এতে সমাজের সবচেয়ে শক্তিশালী ট্যাবুকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে এবং মানুষ ও প্রাণীর যৌন সম্পর্ককে নৈতিকভাবে অনুমোদিত বলে তুলে ধরা হয়েছে। এরপর তিনি প্রবন্ধের লিংকটিও দেন। অধ্যাপক সিঙ্গার বলেন, এই প্রবন্ধে প্রাণি অধিকার ও যৌন নীতি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা হয়েছে। আমি এই গবেষণাটি পড়ে দেখতে সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রবন্ধটিতে বলা হয়, প্রাণিরা মানুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে রাজি হতে পারে এবং এটি তাদের জন্য কোনো ক্ষতিকর অভিজ্ঞতা বয়ে আনবে না। প্রবন্ধটি ছদ্মনামে লিখেছেন একজন গবেষক। তিনি বলেন, ‘যারা এর বিরোধিতা করছেন তাদের আরও যুক্তি থাকা উচিত। আমি মনে করি এখন এই বিষয়টি সাধারণ বলে বিবেচনা করা উচিত।’

এই পোস্টের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে অধ্যাপক সিঙ্গারের বিরুদ্ধে। একজন ব্যবহারকারী বলেন, ‘এখানে পড়ার কিছু নেই। যারা প্রাণিদের সঙ্গে যৌন কর্মে লিপ্ত হয় তারা নিপীড়নকারী। কারও সম্মতি ছাড়া যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা ধর্ষণের সামিল। তাদের জেল হওয়া উচিত।’সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news