মালয়েশিয়ার অরণ্য নগরীর সম্ভাবনা ও সমস্যা

সিঙ্গাপুরের উপকন্ঠে মালয়েশিয়ার দক্ষিণের জোহর রাজ্যের সাগরপাড়ে অরণ্যের মাঝে গড়ে তোলা হয়েছে আকাশচুম্বি সুরম্য নগরী। রৌদ্রুস্নাত উষ্ণমন্ডলীয় একটি ছোট একটি দ্বীপের ২৮৩৩ হেক্টর(৭০০০ একর) জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে এ মনোরম নগরী। চীনা ধনাঢ্য ব্যক্তিদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্য নিয়ে গ্রহণ করা হয় এ প্রকল্প।

পাম গাছ ঘেরা সৈকত ও গাঢ় সবুজঘেরা মনোহারি প্রান্তরে নির্মিত ভবিষ্যত মেটোপলিটন নগরীটি নির্মাণের পর অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ, স্থানীয় রাজনীতি ও কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বাধাগ্রস্থ হয় এর বিকাশ।

আর্থিক সংকটে থাকা চীনের প্রপার্টি জায়ান্ট কান্ট্রি গার্ডেন এ নগরী গড়ে তুলেছে। তারা এখন একটি স্থানকে পুণরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছে যেখানে ২৮ হাজার হাউজিং ইউনিটে মাত্র ৯ হাজার মানুষ বাস করতে পারবেন।

একটি আকাশচুম্বি ভবনের নীচে দাঁড়িয়ে চীনের নাগরিক সুন কিবিন(৩০) বলেন, বর্তমানে ব্যবসা-বানিজ্য বেশ চাঙ্গা হয়েছে তবে এখনও তা ধীর গতিতে এগুচ্ছে।

তিনি বলেন, চীন থেকে এখন অনেক লোক আসছেন। সন্ধ্যার এ সময় নীচ তলায় অবস্থিত তার দোকানের পাশ দিয়ে অনেক চীনা ।

২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে শহরটির কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। ১০ হাজার কোটি ডলারের প্রকল্পের করমুক্ত মর্যাদা প্রদান এবং কর রেয়াতের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এসবের লক্ষ্য হচ্ছে চীনা মূলভূখণ্ডের ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা হয়।

সিঙ্গাপুর সীমান্তের কাছে অবস্থিত জোহর প্রণালী থেকে মোটরপথে নগর রাষ্ট্রটিতে যেতে সময় লাগে ২০ মিনিট। ২০৩৫ সাল নাগাদ চারটি কৃত্রিম দ্বীপ নিয়ে গঠিত  এ অরণ্য নগরীটির লোকসংখ্যা দাঁড়াবে ৭ লাখ।

অরণ্য নগরীর আঞ্চলিক ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইরুর ইজাম সরিফুদ্দিন বলেন, নগরী বিকাশ এখনও ঠিকভাবে এগুচ্ছে তবে আগ্রহের যে গতি তা বেশ ধীর। ৫ হাজার আবাসিক ই্উনিট এখনও বিক্রি বাকী রয়েছে। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি

news