ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেননি আহমাদিনেজাদ

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ৬ প্রার্থীকে অনুমতি দিয়েছে ইরানের শক্তিশালী ‘অভিভাবক পরিষদ’। প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির সংসদের স্পিকার। 
গত ১৯ মে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহত হন। এরপর ২৮ জুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছিলেন সাবেক প্রভাবশালী প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ। গত নির্বাচনের মতো এবারও তার প্রার্থীতা আবেদন অভিভাবক পরিষদ বাতিল করে দিয়েছে।

ইরানের ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব ও বিচারকদের নিয়ে অভিভাবক পরিষদ গঠিত। এর নেতৃত্ব আছেন সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। অন্যান্য নির্বাচনের মতো এবারও ইরানে কোনো নারীকে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দেয়নি পরিষদ। এছাড়া যারা দেশের শাসন ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন চান এমন কেউও নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পাননি।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত হলেন ৬২ বছর বয়সী বাঘের কালিবাফ। তিনি রাজধানী তেহরানের সাবেক মেয়র ছিলেন। এছাড়া শক্তিশালী বিপ্লবী গার্ডের সঙ্গে তার সম্পর্ক বেশ ভালো।

বাঘের কালিবাফ বিপ্লবী গার্ডের একজন জেনারেল ছিলেন। ১৯৯৯ সালে ইরানের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর ব্যাপক ধড়পাকড়ে নেতৃত্ব দেন তিনি।এছাড়া ২০০৩ সালে ইরানের পুলিশ বাহিনীর প্রধান থাকাকালীন শিক্ষার্থীদের ওপর সরাসরি গুলি ছোড়ার অনুমতি দিয়েছিলেন তিনি। সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি 

news