জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলার ব্যাখ্যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ইরান। দেশটির স্থায়ী প্রতিনিধি আমির সাঈদ ইরাভানি জাতিসংঘ মহাসচিব ও নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির কাছে পাঠানো চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাখ্যাকে “আইনিভাবে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য” বলে মন্তব্য করেছেন।

ইরানের মতে, এই হামলা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং জাতীয় সার্বভৌমত্বের সরাসরি লঙ্ঘন। ইরাভানি চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের আত্মরক্ষার অধিকার দেখিয়ে হামলার যৌক্তিকতা প্রমাণের প্রচেষ্টাকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের হত্যা’ বলে আখ্যা দেন।

তিনি আরও বলেন, “আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (IAEA) সাধারণ সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে, শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা বা এমন হুমকি আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন এবং সংস্থাটির বিশ্বাসযোগ্যতা ও পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে।”

এ ঘটনার পর শুধু ইরান নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কায়া কাল্লাসও মার্কিন হামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, “বলপ্রয়োগ করা হলে আন্তর্জাতিক আইনের কাঠামোর মধ্যেই তার সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা থাকতে হবে।”

একই সঙ্গে হামলাটি আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে কতটা বৈধ — এমন প্রশ্নের জবাবে কাল্লাস স্বীকার করেন, “এটি শতভাগ বৈধ নয়।”

যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ বিশ্ব কূটনীতিতে নতুন উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে, যেখানে আইনের শাসন ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্ন আরও গভীরভাবে আলোচিত হচ্ছে।

news