যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিতে একটি ১০ বছর মেয়াদি সামরিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরের পথে এগোচ্ছে। চলতি বছরেই এই চুক্তি চূড়ান্ত হতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন।

১ জুলাই (মঙ্গলবার) টেলিফোনে কথা বলেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ও ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এই আলোচনা থেকেই চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি ঠিক হয় বলে জানান পেন্টাগনের মুখপাত্র কর্নেল ক্রিস ডেভাইন। একইদিনে হেগসেথ ওয়াশিংটনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গেও গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন।

ডেভাইন বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা অংশীদার হিসেবে ভারতের ভূমিকা অনন্য। দুই দেশের নেতারা ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে মোদি-ট্রাম্প যৌথ বিবৃতির ভিত্তিতে প্রতিরক্ষা অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন।”

আলোচনায় উঠে আসে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি বিনিময়, উন্নত সমরাস্ত্র বিক্রি ও যৌথ উৎপাদনের বিষয়গুলো। উল্লেখযোগ্যভাবে, জ্যাভলিন অ্যান্টি-ট্যাংক গাইডেড মিসাইল ও স্ট্রাইকার সাঁজোয়া যান যৌথভাবে তৈরির পরিকল্পনার কথাও নিশ্চিত হয়েছে। এছাড়া, অতিরিক্ত ছয়টি পি-৮ আই সামুদ্রিক টহল বিমান কেনার সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়।

এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা, বিশেষত চীনের প্রভাব মোকাবেলায় এই চুক্তিকে কৌশলগত অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। উভয় দেশই ‘ইন্ডাস-এক্স’ সামিট ও ‘এএসআইএ’ প্রতিরক্ষা শিল্প জোটকে স্বাগত জানিয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই দশ বছর মেয়াদি চুক্তি শুধু দুই দেশের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক নয়, বরং ভবিষ্যতের প্রযুক্তি এবং যৌথ নিরাপত্তা নীতির ভিত্তি গড়ে তুলবে।

news