একীভূত অঞ্চলের নিরাপত্তা দিতে প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার হবে’
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, ইউক্রেনের অধিকৃত অঞ্চলে গণভোটের পর যদি ওইসব অঞ্চল মস্কোর সঙ্গে একীভূত হয় তবে সেসব অঞ্চলের পূর্ণ নিরাপত্তা দেবে রাশিয়া। গতকাল জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বক্তৃতায় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় ল্যাভরভ এ কথা বলেন।
ইউক্রেনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া সামরিক অভিযানের পক্ষে জাতিসংঘে তার মতামত তুলে ধরেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি কিয়েভের বর্তমান সরকারকে ‘অবৈধ’ অভিযোগ করে বলেন, ওই সরকার নব্য নাৎসিবাদী এবং তারা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের রুশ ভাষাভাষি মানুষের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে আসছিল।
এর আগে ইউক্রেনের লুহানস্ক ও দোনেস্কসহ রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা কয়েকটি অঞ্চলে গত শুক্রবার গণভোট শুরু হয়েছে।এসব অঞ্চল রুশ ফেডারেশনে অন্তর্ভুক্ত হবে কিনা তার ওপর অনুষ্ঠিত এ গণভোটে জনগণ তাদের মতামত প্রকাশ করছেন। এ ব্যাপারে কিয়েভ অবশ্য দাবি করেছে, স্থানীয় জনগণকে ভোট দিতে বাধ্য করা হচ্ছে, ভোটের এই চারদিন তাদের এলাকার বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
এ বিষয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণের পর সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নব্য নাৎসিবাদী শাসনে বছরের পর বছর ধরে নিষ্পেষিত ওই অঞ্চলগুলোর জনগণের মতামতকে রাশিয়া অবশ্যই সম্মান দেবে।
এ প্রসঙ্গে ল্যাভরভের কাছে জানতে চাওয়া হয় ইউক্রেনের অধিকৃত অঞ্চলের নিরাপত্তায় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কোনো সম্ভাবনা আছে কি না। উত্তরে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারের ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, নতুন সংযুক্ত এলাকাসহ সংবিধান স্বীকৃত রাশিয়ার ভূখণ্ড রাষ্ট্রের পূর্ণ সুরক্ষার আওতায় থাকবে। রুশ ফেডারেশনের সব আইন, মতবাদ, ধারণা ও কৌশল সম্পূর্ণ ভূখণ্ডের জন্য প্রযোজ্য হবে। প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা কৌশলেরই অংশ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
খবর পার্সটুডে/২০২২/এনবিএস/একে