আফগান অভিবাসীদের প্রতি ইরানের আতিথেয়তার ব্যাপক প্রশংসা করেছে তালেবান


আফগান তালেবানের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক সচিব আফগান অভিবাসীদের প্রতি ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের আতিথেয়তার ব্যাপক প্রশংসা করেছেন।

শির মুহাম্মদ আব্বাস স্কানাকযাই কাবুলে এক অনুষ্ঠানে গত চার দশকে লাখ লাখ আফগান শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার প্রশংসা করে বলেছেন, ইরানের এ অবদানের কথা আফগানরা কখনই ভুলে যাবে না এবং উপযুক্ত সময়ে প্রতিবেশী দেশগুলো বিশেষ করে ইরানকে এর প্রতিদান দেয়া হবে। একইসঙ্গে তিনি ইরানে আশ্রয় নেয়া আফগান শরণার্থীদের নিজ দেশে ফিরিয়ে আনার ওপরও গুরুত্বারোপ করেছেন।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইরান যে আফগানিস্তানের সঙ্গে সুপ্রতিবেশীসুলভ আচরণ করে আসছে তাই নয় একই সাথে এই দুই দেশ অভিন্ন ভাষা, সংস্কৃতি ও সভ্যতার অধিকারী। আফগানিস্তানে এ পর্যন্ত যে সরকারই ক্ষমতায় এসেছে তারা সবাই ইরানের সরকার ও জনগণের প্রশংসা করেছে। যে বিষয়টি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে তা হচ্ছে আফগান শরণার্থীরা ইরানিদের পাশাপাশি থেকে বিভিন্ন শহরে অবস্থান করছে। ফলে শরণার্থীরা কখনই একাকিত্ব অনুভব করেনা বরং তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রশিক্ষণ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করছে। আফগান বিশেষজ্ঞ সাইয়্যেদ হোসেন হোসেইনি এ ব্যাপারে বলেছেন, ইরানের জনগণ আফগান শরণার্থীদেরকে নিজেদের ভাইবোনের মতো আতিথেয়তা করেছে এবং কখনোই তারা আফগানদেরকে খাটো করে দেখেনি।

সাম্প্রতিক বছরে আফগানিস্তানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে ওই দেশটির জনগণের সমস্যা আরো বেড়েছে এবং ওই দেশটির পুনর্গঠনের জন্য দেশটির সবার সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। এ অবস্থায় ইরানে থাকা আফগান শরণার্থীরা যারা বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ নিয়েছে এবং দক্ষতা অর্জন করেছে তারা আফগান সরকারের উন্নয়নমূলক কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। ইরানের আফগানিস্তান বিষয়ক বিশেষজ্ঞ আমিন ফারযাদ বলেছেন, ইরানে আশ্রয় নেয়া আফগানরা পড়ালেখা শেষ করে আফগানিস্তানের বিভিন্ন শিক্ষা কেন্দ্রে অবদান রাখতে পারে।

যাইহোক, তালেবান সরকার ইরানের প্রশংসা করা থেকে বোঝা যায় শরণার্থীদের সাথে ইরানের আচরণে তারা সন্তুষ্ট এবং আফগানদেরকে স্বদেশে ফিরে যাওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা থেকে বোঝা যায় তাদের জনশক্তিকে তারা ব্যবহার করতে চায়।খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে

news