ইরান থেকে চিনগামী যাত্রীবাহী বিমানে বোমাতঙ্ক, জরুরি অবতরণে আপত্তি জানাল ভারত

যাত্রীবাহী বিমানে বোমাতঙ্ক (Bomb Threat)। ইরানের তেহরান থেকে চিনের গুয়াংঝৌ যাওয়ার পথে ভারতে (India) জরুরি অবতরণের আবেদন জানান পাইলট। কিন্তু তা খারিজ হয়। ভারতের কোনও বিমানবন্দরেই তা অবতরণ করানো হয়নি। উলটে বায়ুসেনার দুটি যুদ্ধবিমান সুরক্ষার স্বার্থে ইরানের উড়োজাহাজটির পিছু নেয়। কিছুক্ষণ পর তা নিজের গতিপথ চিনের দিকে চলে গিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। গোটা ঘটনাটি নিয়ে তুমুল সন্দেহ দানা বেঁধেছে। বায়ুসেনার অন্দরে জোর চর্চা চলছে।

সোমবার সকালের দিকে ইরানের (Iran) রাজধানী তেহরান থেকে মাহান এয়ার ফ্লাইট (IRM081) নামে একটি বিমান যাত্রী নিয়ে চিনের (China) গুয়াংঝৌর উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। গতিপথ অনুযায়ী, ভারতের আকাশসীমা পেরিয়ে যেতে হয়। সকাল ৯টা ২০ নাগাদ দিল্লি বিমানবন্দরে ফোন আসে, ইরানের ওই বিমানটিতে বোমাতঙ্ক রয়েছে। দিল্লিতে বিমানটি জরুরি অবতরণ করাতে চায়। ফোন পেয়েই তড়িঘড়ি সতর্কতা জারি হয়। খবর পৌঁছয় বায়ুসেনার কাছেও। সঙ্গে সঙ্গে দুটি সুখোই (Su-30MKI) যুদ্ধবিমান ওই ইরানি বিমানের পিছু নেয়। দিল্লি থেকে তার রুট ঘুরিয়ে দেওয়া হয় জয়পুর ও যোধপুরের দিকে। কিন্তু সেখানেও জরুরি অবতরণ করতে দেওয়া হয়নি ইরানের বিমানটিকে।


ভারতীয় বায়ুসেনা বিমানের দুটি সুখোই বিমান আকাশে ওই ইরানি বিমানটির উপর কড়া নজর রাখে। গতিপথে নজরদারি চালানো হয় ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডারের মাধ্যমে। শেষমেশ যাত্রীবাহী বিমানটি চিনের দিকে উড়ে গিয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।


তবে তারপর বায়ুসেনায় জারি চূড়ান্ত সতর্কতা। যাত্রীবাহী ইরানের বিমানটি সত্যি কতটা বিপদে পড়ে এ দেশের মাটিতে অবতরণ করতে চাইছে, তা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। এই মুহূর্তে হিজাব বিরোধী বিক্ষোভের জেরে কার্যত জ্বলছে ইরান। পুলিশের দমনপীড়নের প্রতিদিনই প্রাণ যাচ্ছে প্রতিবাদীদের। আরেকদিকে, চিন বরাবরই ভারতের সন্দেহের তালিকায়। তাই চিনগামী ইরানের বিমানকে চটজলদি কোনও ছাড় দিতে রাজি নয় ভারত। তবে সোমবার এ নিয়ে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে দিল্লিতে।
সংবাদ প্রতিদিন/এনবিএস/২০২২/একে

news