ওপেক প্লাস রাশিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে: হোয়াইট হাউস
হোয়াইট হাউস বলেছে, তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক প্লাস রাশিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রতিদিন বিশ লাখ ব্যারেল উত্তোলন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়ার পর হোয়াইট হাউস এই মন্তব্য করল। মার্কিন চাপ উপেক্ষা করে ওপেক প্লাস এই তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটার কারিন জ্য পিয়েরে এয়ারফোর্স ওয়ান বিমানে ভ্রমণের সময় বলেন, “আজকের ঘোষণার মাধ্যমে এটি সুস্পষ্ট যে, ওপেক প্লাস রাশিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছে।”
রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে আমেরিকা এবং পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে তোলার জন্য হাজার হাজার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। রাশিয়ার অর্থনীতি মূলত তেল এবং গ্যাসের উপর বিরাটভাবে নির্ভরশীল। এ দুটি পণ্যের মূল্য কমাতে পারলে রাশিয়া চাপের মুখে পড়ে কিন্তু ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত তেল এবং গ্যাসের দাম মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে।
সাম্প্রতিককালে তেলের দাম কিছুটা কমলেও ওপেক প্লাস উৎপাদন কমানোর মাধ্যমে তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়ায় তা মূলত রাশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করবে। সে ক্ষেত্রে আমেরিকা এবং পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার অর্থনীতিকে দুর্বল করার যে প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে তা ব্যর্থ হবে।
গতকাল (বুধবার) অস্ট্রিয়ার রাজধানীর ভিয়েনায় ওপেকভুক্ত দেশগুলোর জ্বালানিমন্ত্রীরা ২০২০ সালের পর প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসেন এবং তেলের উৎপাদন কমানোর এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন।
ইউক্রেনে রাশিয়া সামরিক অভিনন্দন জানানোর পর তেলের দাম সর্বোচ্চ ব্যারেল প্রতি ১২০ ডলারের পৌঁছায় কিন্তু পরবর্তীতে তা ৯০ ডলার এ নেমে আসে। গত তিন মাস ধরে এ দামেই তেল বিক্রি হচ্ছিল।
।খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে