বিদেশি মদদে ইরানে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা: যুদ্ধাস্ত্রসহ ১৭ জন আটক

ইরানে মহিলা পুলিশের হেফাজতে এক তরুণীর মৃত্যুর ঘটনাকে অজুহাত করে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টার সময় ১৭ ব্যক্তিকে যুদ্ধাস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছেন ইরানের পুলিশের মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হোসেইন আশতারি। তিনি বলেছেন, আটক ব্যক্তিরা টার্গেটেড কিলিং মিশন চালিয়ে সাম্প্রতিক নৈরাজ্য ও গোলযোগকে উস্কে দিতে চেয়েছিল। তিনি তদন্ত এবং জড়িত আরো ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার স্বার্থে আটক ব্যক্তিদের পরিচয় প্রকাশ করেননি।

জেনারেল আশতারি আজ (শুক্রবার) তেহরানের জুমার নামাজের খুতবার আগে সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশে দেয়া এক বক্তৃতায় এ তথ্য জানান। ইরানে আগামী ৯ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশ সপ্তাহ উদযাপন করা হবে। এ উপলক্ষে জেনারেল আশতারি জুমার নামাজের খুতবার আগে বক্তব্য দিতে এসেছিলেন।

ইরানের পুলিশ প্রধান বলেন, দেশের একদল দুষ্কৃতকারী নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে আর পুলিশ তা চেয়ে চেয়ে দেখবে তা হবে না। পুলিশকে রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার গুরুদায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি বলেন, সন্ত্রাসী মোনাফেকিন গোষ্ঠী, রাজতন্ত্রের প্রত্যাশী এবং আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইলের সমর্থক কিছু মানুষকে আমরা জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা কেড়ে নিতে দেব না।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশতারি বলেন, ইরানের শত্রুরা এদেশের জনগণের ঘুম হারাম করে দিয়ে তাদের অশুভ লক্ষ্যে পৌঁছাতে চায় এবং এ কাজে এদেশেরই কিছু বিশ্বাসঘাতক সহযোগিতা করছে।

ইরানে মহিলা পুলিশের হেফাজতে কুর্দি নারী মাহসা আমিনি অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ার পর থেকে গত কিছু দিন ধরে সহিংসতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। এতে উসকানি দিচ্ছে বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত কয়েকটি গণমাধ্যম। ইরানের কিছু বিভ্রান্ত মানুষ পশ্চিমা দেশগুলোর উস্কানি ও এসব দেশ থেকে প্রচারিত টেলিভিশন চ্যানেলের অপপ্রচারণার ফাঁদে পড়ে দেশের নৈরাজ্য চালাচ্ছে। এ অবস্থায় সাধারণ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষা করার দায়িত্ব পালন করছে পুলিশসহ অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী।

খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে

news