ভারতীয় বংশোদ্ভূত, সন্তান-সহ মহিলাদের নিয়োগে না! কাঠগড়ায় ইনফোসিস
কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে বৈষম্যের অভিযোগ উঠল ভারতীয় তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের (Infosys) বিরুদ্ধে। সংস্থার প্রাক্তন কর্মীর অভিযোগ, ভারতীয় বংশোদ্ভুত, সন্তান থাকা মহিলা এবং ৫০ ঊর্ধ্বদের নিয়োগের উপর ‘নিষেধাজ্ঞা’ ছিব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ইনফোসিসের প্রাক্তন কর্মী। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে পালটা মামলা হয় আদালতে।
ইনফোসিসের প্রাক্তন উচ্চপদস্থ কর্মী জিল প্রিজেন আমেরিকার (US) জেলা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। সংস্থায় কর্মী নিয়োগের দায়িত্ব ছিলেন তিনি। জিলের অভিযোগ, ভারতীয় বংশোদ্ভূত, সন্তান থাকা কোনও মহিলা কিংবা পঞ্চাশোর্ধ্বরা নিয়োগের আবেদন করলে তা এড়িয়ে যাওয়ার নির্দেশ ছিল। নিয়োগের আগে কর্মীর দক্ষতার চেয়ে তাঁর অন্যান্য বিষয়ে বেশি জোর দেওয়া হত। তিনি আরও জানান, সংস্থায় যোগ দেওয়ার পর প্রথম দুমাস এই বৈষম্যের সংস্কৃতি বদলের চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। জিলের দাবি, সেক্ষেত্রে বাধা এসেছিল ইনফোসিসের সঙ্গী জেরি কার্টজ এবং অলব্রাইটের থেকে। এরপর চাকরি ছেড়ে দেন তিনি।
যদিও প্রাক্তন কর্মীর সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইনফোসিস। তাদের দাবি, ওই কর্মী সংস্থার নিয়ম মানতেন না। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ এড়িয়ে নিয়োগ করতেন তিনি। তাই জিলের চাকরি যায়। আদালতে তারা আরও জানায়, জিলের অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও তথ্যপ্রমাণও নেই। পাশাপাশি জিলের মামলা খারিজের আবেদনও জানানো হয়। ইনফোসিসের সেই আবেদন অবশ্য খারিজ হয়ে গিয়েছে আদালতে।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৩০ সেপ্টেম্বর আদালত নির্দেশ দিয়েছে ইনফোসিসের যা প্রতিক্রিয়া তা ২১ দিনের মধ্যে রিপোর্ট আকারে আদালতে জমা দিতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই ভারতীয় এই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার বিরুদ্ধে ওঠা এই বৈষম্যের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে