বাইডেনের ‘পারমাণবিক আর্মাগেডনে’ মরতে চায় না ইউরোপ
পশ্চিমা কর্মকর্তারা সম্প্রতি একটি সম্পূর্ণ ভুল বার্তা নিয়ে আলোচনা করছেন: তারা বিশ্বাস করেন যে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী রাশিয়াকে এক কোণে নিয়ে গেছে এবং পারমাণবিক বোমাই হবে রাশিয়ার শেষ হাতিয়ার।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর কাছে বার্তা সংস্থা ফ্রান্স২ জানতে চায়, ‘ফ্রান্স কি রাশিয়ার কৌশলগত হামলাকে পারমাণবিক হামলা হিসেবে দেখবে?’ জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের এই মুহূর্তের ভাবনা নয়।’ তিনি বলেছেন, যুদ্ধ যাতে চারদিকে ছড়িয়ে না পড়ে, ফ্রান্স ইউক্রেনের প্রতিরোধকে সমর্থন করে যাবে। শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করবে এবং ভৌগোলিকভাবে বা আশপাশে যাতে না ছড়ায়, সেটা রাসায়নিক অস্ত্র বা পরমাণু অস্ত্রের মাধ্যমে তা প্রতিরোধে কাজ করে যাবে ফ্রান্স।
উপসংহারে ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ‘আমাদের একটি মতবাদ আছে এবং সেটি স্পষ্টভাবে বলে: প্রতিরোধ নিয়ে আমরা যত কথা কম বলব, এর হুমকি যত কম প্রচার করব, আমাদের প্রতি তাতে বেশি আত্মবিশ্বাস থাকবে আমাদের প্রতি।’
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কূটনৈতিক প্রধান জোসেফ বোরেল বলেছেন, ইউক্রেনের ভূমিতে রাশিয়ার পরমাণু হামলায় ইইউ অবশ্যই প্রতিক্রিয়া জানাবে। কিন্তু তাতে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার থাকবে না। ব্রাসেলসে একটি কূটনৈতিক একাডেমি উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করলে তার জবাবতো আছেই। সেটা পরমাণু দিয়ে দেওয়া হবে না। সামরিক পর্যায়েই জবাব দেওয়া হবে, যাতে রুশ বাহিনী নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।’
তিনি স্বীকার করেন যে, পূর্বাঞ্চলের দিকে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি ন্যাটো। এটা রাশিয়ার আগ্রাসনকে সমর্থন করে না। ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছে ইউরোপ। এটাই হলো ২৭টি দেশের ঐক্য এবং একমত থাকার উপযুক্ত সময়।