ঢাকা, রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ | ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
Logo
logo

বিরোধী মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার মধ্যে আবারও মুসলমানদের অনুপ্রবেশকারী বললেন নরেন্দ্র মোদি


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২২ এপ্রিল, ২০২৪, ০৯:০৪ পিএম

বিরোধী মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার মধ্যে আবারও মুসলমানদের অনুপ্রবেশকারী বললেন নরেন্দ্র মোদি

বিরোধী মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার মধ্যে আবারও মুসলমানদের অনুপ্রবেশকারী বললেন নরেন্দ্র মোদি

 রোববার রাজস্থানে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় বিরোধীমহলে। এরপর সোমবারও তিনি উত্তর প্রদেশের আলীগড়ে আবারও বলেছেন, কংগ্রেস সম্পদ পুনঃবণ্টন করে দেবে। বিরোধী দলের দৃষ্টি জনগণের সম্পদের দিকে এবং তারা তা লুট করতে চায়। 

রোববার রাজস্থানের বাঁশবাড়া কেন্দ্রের জনসভায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে দেশের সম্পদ মুসলমানদের মধ্যে বিলি করে দেবে। পারিবারিক সোনা-রুপার সঙ্গে বিবাহিত নারীদের গলায় পরা পবিত্র মঙ্গলসূত্র পর্যন্ত তারা কেড়ে নিয়ে বাঁটোয়ারা করে দেবে। 

প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। কংগ্রেসসহ বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতা ওই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। 

সোমবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, ১৯ এপ্রিল লোকসভার প্রথম দফার ভোট বিরুদ্ধে গেছে বলে প্রধানমন্ত্রীর মাথা খারাপ হয়ে গেছে। 

জনসভায় আসা মানুষের কাছে নরেন্দ্র মোদি জানতে চান, তারা তাদের কষ্টার্জিত সম্পত্তি মুসলমানদের মধ্যে, যাদের অনেক বাচ্চাকাচ্চা হয় তাদের মধ্যে কিংবা অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বাঁটোয়ারা হতে দেবেন কি না।

নরেন্দ্র মোদি বলেন, মুসলমানদের মধ্যে সম্পত্তি বণ্টন করার কথা কংগ্রেসের এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে বলা হয়েছে। তা ছাড়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ড. মনমোহন সিংও বলেছিলেন, দেশের সম্পত্তির ওপর মুসলমানদের অধিকার সবার আগে। এবার কংগ্রেস তার ইশতেহারে বলেছে, ক্ষমতায় এলে আপনাদের রোজগারে অর্জিত সম্পদ মুসলমানদের মধ্যে বিলিবণ্টন করে দেবে। মা-বোনেদের কাছে থাকা সোনা-রুপার হিসাব করা হবে। তারপর তা বিলি করা হবে তাদের মধ্যে, যারা অনুপ্রবেশকারী। মা-বোনদের মঙ্গলসূত্রও তাদের হাত থেকে রেহাই পাবে না। মোদি এই ভাবনাকে শহুরে নকশালদের মনোবৃত্তির সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি জানতে চান, জনগণ তা হতে দেবে কি না?

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, প্রথম দফা ভোটে ‘ইন্ডিয়া’ জোট এগিয়ে গেছে। মোদি তাই ঘৃণা ভাষণের আশ্রয় নিয়েছেন। বেশ বোঝা যাচ্ছে, মোদি হতাশ হয়ে পড়েছেন। কারণ, প্রথম দফায় ‘ইন্ডিয়া’ জোট এগিয়ে গেছে। মোদি তাই ঘৃণা ভাষণের আশ্রয় নিয়েছেন। ক্ষমতার জন্য অসত্য কথা বলছেন। বিরোধীরা যা বলেনি, তা বলে মানুষকে বিপথে চালিত করছেন।

এআইএমআইএম (মিম) নেতা আসাউদ্দিন ওয়েইসি বলেছেন, মোদি মুসলমানদের অনুপ্রবেশকারী বললেন। বহু সন্তানের জন্মদাতা বললেন। ২০০২ সালে থেকে এটাই তিনি করে আসছেন। মুসলমানদের গালি দিচ্ছেন। এটাই তার একমাত্র গ্যারান্টি। এসব করেন ভোট পাওয়ার জন্য।সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

এনবিএস/ওডে/সি