ঢাকা, রবিবার, নভেম্বর ৩, ২০২৪ | ১৯ কার্তিক ১৪৩১
Logo
logo

আমি মারাও যেতে পারতাম: ট্রাম্প


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ১৫ জুলাই, ২০২৪, ০৯:০৭ পিএম

আমি মারাও যেতে পারতাম: ট্রাম্প

আমি মারাও যেতে পারতাম: ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তার মরে যাওয়ার কথা ছিল। হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে যাওয়ার পর গত রোববার মার্কিন রক্ষণশীল সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এ কথা বলেন।

গত শনিবার সন্ধ্যায় পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচনী সমাবেশে বক্তৃতার সময় ট্রাম্পকে গুলি করা হয়। এরপর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় সম্মেলনে অংশ নিতে ট্রাম্প একই দিন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের মিলওয়াকিতে যান। মিলওয়াকিতে রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় সম্মেলন শুরু হয়েছে, চলবে ১৮ জুলাই পর্যন্ত। এ সম্মেলনে ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হবে।

মিলওয়াকিতে যাওয়ার পথে নিজের বিমানে বসে ট্রাম্প নিউইয়র্ক পোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমার এখানে থাকার কথা নয়, আমি মারাও যেতে পারতাম।’ ট্রাম্পের ডান কান সাদা ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় শনিবারের ঘটনা প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, এটা ছিল তার জন্য খুবই এক পরাবাস্তব অভিজ্ঞতা।

রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট উভয় দলই ট্রাম্পের ওপর হামলার ব্যাপক নিন্দা করেছে। ট্রাম্প সমর্থকরা যুক্তি দিয়েছেন যে ডেমোক্রেট এবং মিডিয়া ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ঘৃণা উস্কে দেওয়ার জন্য দোষী ছিল।

অনেক রাজনীতিবিদ এবং সাংবাদিক একমত যে এই ট্রাম্পকে হত্যা প্রচেষ্টা আমেরিকান রাজনৈতিক দৃশ্যে ধীরে ধীরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার একটি প্রমাণ ছিল যা অত্যন্ত বিতর্কিত এবং নির্বাচনের সময় আরও বেড়ে যায়। 

তবে হামলার পর মিলওয়াকিতে এবারের অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এফবিআই। ট্রাম্প রোববার দিনের শুরুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের একটি পোস্টে হত্যাচেষ্টার ফলে এই কনভেনশন দুই দিন পেছানোর কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু পরে তিনি তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন। ট্রাম্প পৃথক আরেকটি পোস্টে কনভেনশন পূর্বনির্ধারিত সময়েই বাস্তবায়ন হবে বলে ঘোষণা দেন। তিনি বলেছেন, আমি এইমাত্র সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমি একজন শুটার বা সম্ভাব্য হত্যাকারীকে সময়সূচি পরিবর্তন করতে বাধ্য করতে পারি না।

কনভেনশনকে কেন্দ্র করে পুরো শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আশপাশে বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। এছাড়া যানবাহন চলাচলও সীমিত করা হয়েছে।