ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪ | ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Logo
logo

পাল্টে যাচ্ছে দেশের রাজনীতি !


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ১৬ আগস্ট, ২০২৪, ০৬:০৮ পিএম

পাল্টে যাচ্ছে দেশের রাজনীতি !

 

সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশ থেকে পালানোর পর আস্তে আস্তে পাল্টে যেতে থাকে দেশে রাজনীতি। বর্তমানে রাজনীতিতে অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৪টি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। একটি মামলায় ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অভিযোগ দায়ের করতে বলা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে দ্রুতই শেষ হবে বিচার। 

এদিকে আওয়ামী লীগের পলাতক নেতারা একে একে ধরা পড়ছেন। কোর্টের মাধ্যমে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। কোর্টের আনা-নেওয়ার সময় তাদের গায়ে ডিম মরা হয়েছে, দেখানো হয়েছে জুতা। ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিকৃতি ফুল দিতে পারেনি নেতাকর্মী, উল্টো মার খেয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের গত প্রায় ১৫ বছরের শাসনকালে প্রতিবছর ১৫ আগস্ট বহু মানুষ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আসতেন বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। যদিও ঢাকার বাইরে কয়েক জেলায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা শ্রদ্ধা জানাতে পেরেছেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঘোষিত ১৫ আগস্টের সাধারণ ছুটি বাতিল করা হয়েছে। 

বিএনপিরসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ঢাকার রাজপথ দখলে রেখেছেন। সবাইকে রাজপথে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। জামায়াতসহ অন্যান্য দলের নেতাকর্মীরা রয়েছেন মাঠে। 

এদিকে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের মেয়াদ স্পষ্ট না করায় অসন্তুষ্টি ও অস্থিরতা কাজ করছে বিএনপিতে। এ অবস্থায় সিদ্ধান্ত নিতে কয়েক মাস সরকারের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবে দলটি। বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, সরকারের সঙ্গে যাতে কোনো ধরনের দূরত্ব তৈরি না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকবেন তারা। এ জন্য এখনই সরকারের কার্যক্রম নিয়ে কোনো নেতিবাচক মন্তব্য করতে চান না নেতারা।

বিএনপির দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। ড. ইউনূসের নেতৃত্বে তাদের দাবির প্রথম ধাপ পূরণ হয়েছে। এখন বাকি আছে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের একটি সরকার গঠন করা। দেখা যান সেই নির্বাচনে কোন কোন দল থাকে। যদি সেই নির্বাচন আওয়ামী লীগ না থাকে তাহলে আবারও অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। রাজনীতির মোড় নিতে পারে অন্যদিকে। 

বিশ্ব মহলে পরিচিত ও জনপ্রিয় হওয়ায় তার নেতৃত্বে দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই ঘুরে দাঁড়াবে, এমন প্রত্যাশা সাধারণ নাগরিকদের। তাদের দাবি, দেশের এমন অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ড. ইউনূসের কোন বিকল্প ছিল না। তাকে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান করা এ সময়ের জন্য দুর্দান্ত একটি সিদ্ধান্ত।