এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৪:০৯ পিএম
পশ্চিম তীরে আমাদের জনগণের সঙ্গে যা ঘটছে, তার জন্য পুরো বিশ্ব দায়ী: মাহমুদ আব্বাস
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া বক্তৃতায় অবিলম্বে গাজা যুদ্ধ অবসানে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। গাজায় যা ঘটছে তার জন্য সমগ্র বিশ্ব দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
ইসরাইল গত অক্টোবরে হামলা শুরু করার পর জাতিসংঘে তার প্রথম ভাষণ।
পশ্চিম তীর ও গাজায় রক্তপাতের অবসানে ইসরাইলে অস্ত্র পাঠানো বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট। মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, ওয়াশিংটন গাজা যুদ্ধে ইসরাইলকে কূটনৈতিক সহায়তা দিচ্ছে এবং অস্ত্র সরবরাহ করেই চলেছে। সেখানে মৃতের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ার পরও যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে সমর্থন ও সহায়তা করে যাচ্ছে। ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজায় বর্তমানে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৪১ হাজার ৫৩৪ জনে পৌঁছেছে বলে উপত্যকার হামাস নিয়ন্ত্রিক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
জাতিসংঘ অধিবেশনে দেওয়া বক্তৃতায় ফিলিস্তিনি এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এই অপরাধ থামান। এখনই থামান। শিশু ও নারী হত্যা বন্ধ করুন। গণহত্যা বন্ধ করুন। ইসরাইলে অস্ত্র পাঠানো বন্ধ করুন। এ পাগলামি চলতে পারে না। গাজা এবং পশ্চিম তীরে আমাদের জনগণের সঙ্গে যা ঘটছে, তার জন্য পুরো বিশ্ব দায়ী।’
যুদ্ধের কারণে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ২৪ লাখ বাসিন্দার বেশিরভাগই অন্তত একবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধ শুরুর পর লাখ লাখ মানুষ স্কুল ভবন ও বিভিন্ন শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এসব আশ্রয় কেন্দ্র ইসরাইলি হামলায় তছনছ হয়ে গেছে।
গাজায় ইসরাইলি অভিযানের অবসানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তোলা প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র অতীতে বারবার ভেটো দিয়েছে। এর নিন্দা জানিয়ে মাহমুদ আব্বাস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র একা দাঁড়িয়ে বলল, না, লড়াই চলবে। দেশটি ভেটো ক্ষমতাকে ব্যবহার করে এটা করেছে।’
হাজার হাজার বেসামরিক, শিশু ও নারীদের হত্যায় ইসরাইল প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করেছেন মাহমুদ আব্বাস। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ ইসরাইলকে আগ্রাসন ক্রমাগত চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করেছে। ইসরাইল জাতিসংঘে থাকার যোগ্য নয়।
বিশ্বে ইসরাইলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র ও সহায়তাকারী যুক্তরাষ্ট্র। গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসরাইলকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সহায়তা ও সামরিক অস্ত্র সরবরাহ করেছে ওয়াশিংটন।