ঢাকা, শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪ | ১২ পৌষ ১৪৩১
Logo
logo

দুর্নীতির মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন মালয়েশিয়ার নাজিব রাজাক


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২৮ নভেম্বর, ২০২৪, ০৬:১১ পিএম

দুর্নীতির মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন মালয়েশিয়ার নাজিব রাজাক



মালয়েশিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বেরহাদ ওয়ান এমডিবি কেলেঙ্কারির সাথে সম্পর্কিত ৬.৬ বিলিয়ন রিংগিত ১.৪৮ বিলিয়ন ডলার তহবিল আত্মসাতের ছয়টি অভিযোগ বুধবার আদালত খারিজ করে দিয়েছে।

দেশটির জাতীয় গণমাধ্যমসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, কুয়ালালামপুর হাইকোর্টের বিচারক মুহাম্মদ জামিল হুসেইন বলেছেন, মামলার বিচার শুরু করতে ‘অযৌক্তিক বিলম্ব’ হয়েছে। এই মামলা ২০১৮ সালে দায়ের করা হয়েছিল, কিন্তু একাধিকবার তারিখ নির্ধারণ সত্ত্বেও বিচার শুরু করা যায়নি।

নাজিব ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব ইরওয়ান সিরেগারকে এই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও এটি খালাস নয় বলে জানানো হয়েছে। 

বিচারক বলেছেন, ভবিষ্যতে এই মামলায় নতুন করে অভিযোগ আনা যেতে পারে।

নাজিব বর্তমানে ওয়ান এমডিবি তহবিল কেলেঙ্কারির আরেকটি মামলায় ছয় বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। তিনি বাকি চার বছরের শাস্তি গৃহবন্দি অবস্থায় কাটানোর আবেদন করেছেন, যা বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। নাজিবের আইনজীবীরা দাবি করেছেন, প্রাক্তন রাজা আংশিক ক্ষমার অংশ হিসেবে তাকে গৃহবন্দি থাকার অনুমতি দিয়েছেন। তবে আদালত জুলাই মাসে তার এই দাবির বিচারিক পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে।

২০১৫ সালে নাজিবের শাসনকালে ওয়ান এমডিবি থেকে আবুধাবির ইন্টারন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানিকে (আইপিআইসি) দেওয়া অর্থ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। আবুধাবি সংস্থাটি দাবি করে, তারা এই তহবিল পায়নি এবং একটি ভুয়া সংস্থার মাধ্যমে অর্থ সরানো হয়েছে। মালয়েশিয়াকে আইপিআইসিকে ৫.৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিশোধ করতে হয়েছিল। পাল্টা মামলার পর গত বছর আইপিআইসি মালয়েশিয়ার কাছে ১.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিশোধে সম্মত হয়।

নাজিবের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থ পাচারের ২৫টি অভিযোগে তাকে প্রতিরক্ষায় প্রবেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি অভিযোগের জন্য ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। বুধবারের রায় নিয়ে মালয়েশিয়ার জনগণের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। ফেসবুক ব্যবহারকারী এরিক কিউ অভিযোগ করেন, ‘অভিযোগপক্ষ জাতিকে ব্যর্থ করেছে।’

মালয়েশিয়া সরকার কারাগারের ভিড় কমাতে একটি গৃহবন্দি আইন প্রস্তাব করেছে। অনেকে এই আইনের সঙ্গে নাজিবের গৃহবন্দির আবেদনকে যুক্ত করেছেন, যদিও দেশটির সরকার তা অস্বীকার করেছে।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটির উচ্চপদস্থ রাজনীতিবিদদের মামলার অব্যাহতি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ২০২৩ সালে নাজিবের উপপ্রধানমন্ত্রী আহমাদ জাহিদ হামিদির ৪৭টি অভিযোগ খারিজ হওয়াও জনগণের ক্ষোভ বাড়িয়েছে। বর্তমানে তিনি মালয়েশিয়ার দুই উপপ্রধানমন্ত্রীর একজন। নাজিবের গৃহবন্দির গুজব নিয়ে বিতর্ক চলমান।