এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৪:০১ পিএম
ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি চুক্তি অনুমোদন করেছে। আগামী রবিবার (২১ জানুয়ারি) থেকে এ চুক্তি কার্যকর হবে। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, “রাজনৈতিক, নিরাপত্তা এবং মানবিক দিকগুলো বিবেচনা করে এবং যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে নিশ্চিত হওয়ার পরই এই চুক্তি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”
এ চুক্তি চূড়ান্ত করার জন্য শুক্রবার ইসরায়েলের পূর্ণ মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ণ মন্ত্রিসভাও এতে সম্মতি জানাবে।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, রবিবার হামাস প্রথমে বন্দি মুক্তি দেবে। গাজার যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের জন্য সংঘাত বন্ধ থাকবে। এই সময়ের মধ্যে হামাসের হাতে আটক ৩৩ জন জিম্মি এবং ইসরায়েলের বন্দি শত শত ফিলিস্তিনি মুক্তি পাবে।
চুক্তির অংশ হিসেবে গাজায় মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি করা হবে এবং আংশিকভাবে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, এ চুক্তি কার্যকর হলে চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটবে।
চুক্তির কিছু বিষয় এখনও মীমাংসা হয়নি। এগুলো মন্ত্রিসভার পূর্ণ বৈঠকে নির্ধারণ করা হবে। তবে বিষয়গুলোর বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি।
অপরদিকে, চুক্তির বিরোধিতা করে অতি-ডানপন্থী মন্ত্রীরা আপত্তি জানিয়েছেন। এক মন্ত্রী চুক্তি অনুমোদিত হলে পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস দক্ষিণ ইসরায়েলে আকস্মিক আক্রমণ চালায়। এতে ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়। এর জবাবে ইসরায়েল গাজায় বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ অভিযানে এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো চুক্তি বাস্তবায়নে ভূমিকা রেখেছে। ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ চুক্তিটিকে "সঠিক পদক্ষেপ" হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং দ্রুত এটি কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছেন।