ঢাকা, শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Logo
logo

ত্রিপুরায় জামানত জব্দ তৃণমূলের, অঙ্ক বদলানোর ভোটও পায়নি জোড়াফুল


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২৭ জুন, ২০২২, ০১:০৬ পিএম

ত্রিপুরায় জামানত জব্দ তৃণমূলের, অঙ্ক বদলানোর ভোটও পায়নি জোড়াফুল

ত্রিপুরায় জামানত জব্দ তৃণমূলের, অঙ্ক বদলানোর ভোটও পায়নি জোড়াফুল

 কয়েকমাস আগে আগরতলা কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠেছিল তৃণমূল। আসন না পেলেও ভোট শতাংশে তারাই ছিল দ্বিতীয়। কিন্তু চার কেন্দ্রে বিধানসভার উপনির্বাচনে (Tripura By Election) কোনও দাগ কাটতে পারল না তৃণমূল। আগরতলা, বড়দোয়ালি, সুরমা এবং যুবরাজ নগর– চারটি আসনেই জামানত জব্দ হল বাংলার শাসকদলের (TMC)।

এর মধ্যে আগরতলা ও বড়দোয়ালিতে এক হাজার ভোটও পায়নি তৃণমূল। বাকি দুটিতে হাজার পেরিয়েছে। চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল ভোট পেয়েছে (Vote Percentage) আগরতলায় ২.১ শতাংশ, বড়দোয়ালিতে ২.৯৮ শতাংশ, ৩.৪ ভোট পেয়েছে সুরমায় এবং যুবরাজ নগরে ২.৯৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে।

আগরতলা কর্পোরেশন নির্বাচনে অন্তত পনেরোটি ওয়ার্ডে অঙ্ক বদলে দেওয়ার মতো ভোট পেয়েছিল শাসকদল। যেখানে দেখা গিয়েছিল ওই ভোট যদি অন্য বিরোধী দল সিপিএম কিংবা কংগ্রেস পেত তাহলে বিজেপির পরাজয় সুনিশ্চিত ছিল। যে কারণে সেই সময়ে অনেকে তৃণমূলকে ত্রিপুরার মিম বলে কটাক্ষ করেছিল। যদিও বিধানসভার উপনির্বাচনে সেদিক থেকে কোনও রেখাপাত করতে পারল না জোড়াফুল শিবির।

 এই চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল সমস্ত শক্তি নিক্ষেপ করেছিল ত্রিপুরায়। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষ, সায়নী ঘোষ, জয়া দত্তর মতো নেতানেত্রীরা পোলো টাওয়ার্স হোটেলে কার্যত বেস ক্যাম্প করে পড়ে ছিলেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে প্রচারে গিয়েছিলেন। তা ছাড়া মিমি চক্রবর্তী, শত্রুঘ্ন সিনহার মতো সেলিব্রেটি সাংসদদের প্রচারে পাঠিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু তাতেও বিশেষ হেরফের হল না।


দেখা যাচ্ছে আগরতলা কংগ্রেস জিতেছে। বলা ভাল সুদীপ রায় বর্মণ প্রমাণ করে দিয়েছেন, দল বা সিম্বল পরে, এই কেন্দ্রে তাঁর নামটাই বড় ব্যাপার। সুদীপ কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছেন। আবার বড়দোয়ালিতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সাবেক দল। যা ত্রিপুরা কংগ্রেসের জন্যও রুপোলি রেখা। বাকি দুটি আসনে দ্বিতীয় স্থানে সিপিএম।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরেই বাংলার বাইরে ফুটপ্রিন্ট রাখা শুরু করেছিল শাসকদল। তারমধ্যে গোয়া এবং ত্রিপুরা ছিল প্রথম ধাপের পাখির চোখ। গোয়ার ক্ষেত্রে তৃণমূল অনেক আসনে ভোট কেটে বিজেপির সুবিধা করিয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিল কংগ্রেস। তবে ত্রিপুরায় তৃণমূল কার্যত দৃশ্যেই রইল নাখবর দ্য ওয়ালের /এনবিএস/২০২২/একে