ঢাকা, রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ | ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
Logo
logo

পশ্চিমবঙ্গ ও তেলেঙ্গানা পরিবারতন্ত্র থেকে মুক্ত হবে: অমিত শাহ, পাল্টা কটাক্ষ কুণাল ঘোষের


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ০৪ জুলাই, ২০২২, ০৩:০৭ পিএম

পশ্চিমবঙ্গ ও তেলেঙ্গানা পরিবারতন্ত্র থেকে মুক্ত হবে: অমিত শাহ, পাল্টা কটাক্ষ কুণাল ঘোষের

পশ্চিমবঙ্গ ও তেলেঙ্গানা পরিবারতন্ত্র থেকে মুক্ত হবে: অমিত শাহ, পাল্টা কটাক্ষ কুণাল ঘোষের

ভারতের হায়দরাবাদে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপির সিনিয়র নেতা অমিত শাহ রাজনৈতিক প্রস্তাবে বলেছেন, পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি থেকে মুক্তি পাবে বাংলা। বাংলা এবং তেলঙ্গানা পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি মুক্ত হবে। পশ্চিমবঙ্গসহ ৬টি রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠিত হবে বলেও জানানো হয়েছে।

জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক প্রসঙ্গে আজ (রোববার) বিজেপির সিনিয়র নেতা ও অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন, অমিত শাহজী বিরোধীদের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বর্তমানে বিরোধীরা ছত্রভঙ্গ। কংগ্রেসে গণতন্ত্র স্থাপিত করার জন্য তাদেরই সদস্যরা আন্দোলন করছেন। মোদিকে ভয় পাচ্ছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের রাজনীতি পরিবারনির্ভর। আমরা রাজনীতিকে সেবার মাধ্যম বলে মনে করি। পশ্চিমবঙ্গ ও তেলেঙ্গানাতে পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি থেকে জনগণ মুক্তি পাবে। বাংলা, কেরালা, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং উড়িষ্যাতেও বিজেপির সরকার গঠিত হবে।’

 এ প্রসঙ্গে বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণ করে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘পরিবারতন্ত্রের কথা বিজেপির মুখে মানায় না। ২০২০ সাল, ২০২১ সালে বাংলার নিত্যযাত্রী হয়ে যাওয়ার সময়েও এ সব বলেছিলেন। পরিবারতন্ত্রের কথা বিজেপি কী করে বলছে?  অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডের সাইনবোর্ড তো বিজেপির দেওয়ালে ঝুলছে। সিন্ধিয়ারা তো বটেই, রাজ্যে রাজ্য বিজেপি পরিবারতন্ত্র চালায়। আর বাংলায় তো মানুষের সরকার চলছে।’  

কুণাল ঘোষ আরও বলেন, ‘এ গুলো অসার বিষয়। বাংলায় নীতির উপর দাঁড়িয়ে লড়াই হয়েছে, বাংলার মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে লড়াই চলছে, ওনারা হারাতে পারছেন না, ফলে এ ধরণের কথা বলে লাভ কী? সামনে তাকিয়ে দেখুন-  ডান দিকে দেখুন, বাম দিকে দেখুন, কোথাও অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডের সাইনবোর্ড, কোথাও সিন্ধিয়ার সাইনবোর্ড, কোথাও এর, কোথাও ওর, তাদের মুখে পরিবারতন্ত্রের কথা কখনও শোভা পায়? আমার মনে হয়, এটা একটা রুটিন কাজ  ওদের। কর্মীদের সামনে নতুন কিছু বলার নেই, গোল-গোল করে ভিত্তিহীন কিছু কথা বলে  ওনারা চালাচ্ছেন। এর সঙ্গে বাংলার রাজনীতির, মানুষের উন্নয়নের কোথাও কোনও সম্পর্ক নেই’ বলেও মন্তব্য করেন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ও দলীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে