ঢাকা, সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ | ৯ পৌষ ১৪৩১
Logo
logo

মোদীর ছাড়া চিতা খাবে বিলুপ্তপ্রায় হরিণ! ক্ষুব্ধ বিষ্ণোইদের চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৮:০৯ পিএম

মোদীর ছাড়া চিতা খাবে বিলুপ্তপ্রায় হরিণ! ক্ষুব্ধ বিষ্ণোইদের চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে

মোদীর ছাড়া চিতা খাবে বিলুপ্তপ্রায় হরিণ! ক্ষুব্ধ বিষ্ণোইদের চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে


মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানের নতুন অতিথিদের খাবার নিয়ে এবার জোর বিতর্ক বাঁধল। জানা গেছে, নামিবিয়া থেকে আকাশপথে উড়িয়ে আনা আট চিতার (cheetah) খাবারের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে প্রায় ২০০টি বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির হরিণ (deer)। ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিষ্ণোই (Bishnoi) সম্প্রদায়। প্রধানমন্ত্রীকে (Narendra Modi) চিঠি লিখে এভাবে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীকে চিতার খাদ্য বানানোর বিষয়টি আরও একবার বিবেচনার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
বিজেপি নেতা কুলদীপ বিষ্ণোই একটি টুইটে লিখেছেন, ‘আমি শুনেছি, চিতাগুলির জন্য প্রায় দু’শটি বিলুপ্তপ্রায় হরিণ পাঠানো হচ্ছে। কেন্দ্র সরকারকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুরোধ করছি। রাজস্থানে এই প্রজাতির হরিণ বিলুপ্তির মুখে। তাদেরকে এভাবে চিতার মুখে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের মানুষের ভাবাবেগেও আঘাত হেনেছে। এটা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।’(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তবে এখানেই শেষ নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও এই বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বিষ্ণোইরা। তাঁদের বক্তব্য, ওই আটটি চিতার জন্য বিলুপ্তপ্রায় হরিণ পাঠানো আসলে একধরনের ‘পরিকল্পিত হত্যা’। এটা অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার। সরকার শীঘ্রই এই কাজ বন্ধ করুক। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হস্তক্ষেপ করুক।(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা সেই চিঠিতে সর্বভারতীয় বিষ্ণোই মহাসভার প্রধান লিখেছেন, ‘চিতাদের খাবারের জন্য হরিণ পাঠানোর খবর অত্যন্ত বেদনাদায়ক, যা আমাদের ভাবাবেগে আঘাত করেছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার কয়েক বছর পরেই ভারত থেকে চিতা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল, সরকার নতুন করে আবার সেই প্রাণীকে বাইরে থেকে আনিয়েছে। অথচ যে বন্যপ্রাণীরা বর্তমানে ভারতে বিলুপ্তির মুখে, তাদের সংরক্ষণের কোনও চেষ্টাই করা হচ্ছে না।’
উল্লেখ্য, বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের মানুষজন কৃষ্ণসার হরিণ-সহ যে কোনও বন্যপ্রাণীকেই শ্রদ্ধার চোখে দেখেন। হরিণের এই বিশেষ প্রজাতিকে রক্ষার জন্য রাজস্থানের বিষ্ণোই মহাসভার তরফে দীর্ঘদিন ধরেই প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এমনকি অভিনেতা সলমন খান কৃষ্ণসার হত্যার পর সবথেকে বেশি প্রতিবাদে সামিল হতে দেখা গিয়েছিল এই বিষ্ণোই সম্প্রদায়কেই। সম্প্রতি বেশ কয়েকবার অভিনেতাকে খুনের হুমকি দিয়েছে যে, সেই রবি বিষ্ণোই-ও এই সম্প্রদায়েরই মানুষ।


।খবর দ্য ওয়ালের/এনবিএস/২০২২/একে