ঢাকা, রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ | ৮ পৌষ ১৪৩১
Logo
logo

চিনে কি সত্যিই সেনা অভ্যুত্থান ঘটেছে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০১:০৯ পিএম

চিনে কি সত্যিই সেনা অভ্যুত্থান ঘটেছে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?


চিনে কি সত্যিই সেনা অভ্যুত্থান ঘটেছে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

 সেনা অভ্যুত্থান চিনে (China Coup)? গৃহবন্দি চিনের (China) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং? সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে গুঞ্জন। যদিও গুঞ্জন ছড়ানোর পর বেশ কিছুটা সময় কেটে গিয়েছে। তারপরেও এ নিয়ে বেজিংয়ের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া নেই। চিনের সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমেও এ সংক্রান্ত কোনও রিপোর্ট নেই। দ্বিধাবিভক্ত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরাও। ফলে চিনের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে জল্পনা থামছে না।

চিনের ৫৯ শতাংশ বিমানকে নাকি বিমানবন্দরে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে বলে সূত্রের খবর মিলেছে। এদিকে এসসিও থেকে ফেরার পর থেকে প্রকাশ্যে দেখা মেলেনি চিনের রাষ্ট্রপ্রধান শি জিনপিংয়ের (Xi Jinping)। সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যায় পশ্চিম চিনে লালফৌজের গতিবিধি বেড়েছে। এমনকী, বেজিংয়ের দিকে সেনার বহু গাড়িকে রওনা হতেও দেখা যায়। এরপরই চিনের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।


যদিও চিনের রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে নাড়াচাড়া করেন এমন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা এই গুঞ্জনকে পাত্তা দিতে নারাজ। তাঁদের কথায়, চিনে সেনা অভ্যুত্থান হয়েছে বা প্রেসিডেন্ট গৃহবন্দি রয়েছেন, এমন কোনও অকাট্য প্রমাণ এখনও মেলেনি। চিনা বিমান বাতিলের গুঞ্জন উড়িয়ে ফ্লাইট ট্র্যাকিং সাইটের একাধিক ছবি শেয়ার করেছেন তাঁরা। তাতে স্পষ্ট চিনের আকাশে অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে বিমানের ওঠানামা।

চিনা বিশেষজ্ঞ আদিল ব্রারর জানিয়েছেন, সাংহাই কর্পোরেশন অরগানাইজেশন সামিট থেকে ফিরে হয়তো কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন শি জিনপিং। বিমানের ওঠানামার তথ্যও শেয়ার করেছেন তিনি। একইসঙ্গে এমন ভিডিও তিনি পোস্ট করেছেন, যেখানে চিনের শীর্ষস্তরের প্রশাসনিক কর্তাদের রোজকার মতোই কাজ করতে দেখা গিয়েছে।

 
সাংবাদিক জাক্কা জ্যাকবও ক্যু-এর গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি জানান, চিনের সেনা বা লালফৌজ সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের অন্তর্গত। আর চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক বা জেনারেল সেক্রেটারি সেই কমিশনের প্রধান। পদ বলে কমিশনের শীর্ষে রয়েছেন খোদ জিনপিং। তাই সেনা অভ্যুত্থানের প্রশ্নই নেই। আরেক সাংবাদিক তথা লেখক অনন্ত কৃষ্ণান ডানান, ক্যু-র কোনও প্রমাণই মেলেনি। এমনকী, হংকং-এর সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের টুইট বা রিপোর্টেও এধরনের কোনও তথ্য মেলেনি। ফলে চিনের রাজনৈতিক অস্থিরতার গুঞ্জনকে নিছকই গুজব বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তাতেও অবশ্য দমতে রাজি নয় নেটিজেনরা।
 সংবাদ প্রতিদিন/এনবিএস/২০২২/একে