এনবিএস ওয়েবডেস্ক প্রকাশিত: ০১ অক্টোবর, ২০২২, ০১:১০ পিএম
ইরানে নৈরাজ্য ও সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান
ইরানের প্রভাবশালী বিশেষজ্ঞ পরিষদ দেশব্যাপী সহিংসতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি এবং ধর্ম অবমাননার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। একইসঙ্গে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের সবাইকে আইনের আওতায় আনারও আহ্বান জানিয়েছে এই পরিষদ।
ইরানে হিজাব আইন অমান্য করার কারণে আটক তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় যখন দেশবাসী শোকাহত এবং তারা ফরেনসিক তদন্ত রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন তখন রাজধানী তেহরানসহ কিছু শহরে বেআইনি প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিবাদকারীরা সরকারি ও বেসরকারি সম্পদ ভাঙচুরসহ নানারকম নাশকতামূলক তৎপরতা চালিয়েছে। অন্যদিকে দাঙ্গাকারীদের বিরুদ্ধে রাজধানী তেহরানসহ সারাদেশে শান্তিপূর্ণ মিছিল করেছেন লাখ লাখ মানুষ। মিছিলকারীরা বিদেশিদের মদদে দাঙ্গা সৃষ্টিকারীদের তীব্র নিন্দা জানিয়ে স্লোগান দেন।
বিশেষজ্ঞ পরিষদ এক বিবৃতিতে বলেছে, দেশের সচেতন নাগরিকরা দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানোর সময়োচিত যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তা প্রশংসনীয়। কিন্তু এ দাঙ্গায় প্রমাণিত হয়েছে, ইরানের ইসলামি শাসনব্যবস্থার ক্ষতি করার জন্য শত্রুরা এক মুহূর্ত বসে নেই। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, কিছু মুষ্টিমেয় মানুষ যাদের আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কোনো জ্ঞান নেই তারা ইরানের কসম খাওয়া শত্রুদের ক্রীড়নকে পরিণত হয়েছে যার মাশুল দিয়েছে এদেশের জনগণ।
এদিকে, মাহসা আমিনির মৃত্যুকে অজুহাত করে সৃষ্ট সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইরানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্তত ৬,০০০ শিক্ষক। তেহরানের মেয়র মোহসেন মানসুরি এক বক্তব্যে বলেছেন, তেহরানে গোলযোগ বন্ধ হয়ে গেছে এবং গত কয়েক রাতে এখানো কোনো গণ্ডগোল হয়নি। ওদিকে কুর্দিস্তানের গভর্নর ইসমাইল জারেয়ি বলেছেন, তার প্রদেশের বিক্ষোভ দমনে নিরাপত্তা বাহিনী সর্বোচ্চ সংযমের পরিচয় দিয়েছে। মাহসা আমিনির জন্মস্থান কুর্দিস্তানে এবং তেহরানে তার মৃত্যুর পর কুর্দিস্তানের কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ওই প্রদেশ থেকে দেশব্যাপী গোলযোগ ছড়িয়ে দেয়।
খবর পার্সটুডে/এনবিএস/২০২২/একে