ঢাকা, রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ | ৮ পৌষ ১৪৩১
Logo
logo

ক্রাইমিয়া পুনর্দখলের চেষ্টা ইউক্রেনের! রাশিয়ার সঙ্গে সংযোগকারী সেতুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ


এনবিএস ওয়েবডেস্ক   প্রকাশিত:  ০৮ অক্টোবর, ২০২২, ০৯:১০ পিএম

ক্রাইমিয়া পুনর্দখলের চেষ্টা ইউক্রেনের! রাশিয়ার সঙ্গে সংযোগকারী সেতুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ

ক্রাইমিয়া পুনর্দখলের চেষ্টা ইউক্রেনের! রাশিয়ার সঙ্গে সংযোগকারী সেতুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ

 সাতসকালে বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল রাশিয়ার (Russia) মূল ভূখণ্ড ও ক্রাইমিয়ার সংযোগকারী সেতু। ভেঙে পড়ল সেতুর দু’দিকের লেনের অংশবিশেষ। ক্রাইমিয়া এবং দক্ষিণ ইউক্রেনের (Ukraine) সঙ্গে রাশিয়ার যোগাযোগ রক্ষার একমাত্র উপায় ১৯ কিলোমিটার লম্বা এই সেতু। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে রুশ বাহিনীর কাছে রসদ, অস্ত্র, জ্বালানি পৌঁছে দেওয়ার একমাত্র পথ ছিল এই সেতু। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সেই ব্রিজে এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল তা জানতে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন রুশ গোয়েন্দারা।

২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রাইমিয়া অঞ্চল ছিনিয়ে নিয়েছিল মস্কো। ওই অঞ্চলকে রাশিয়ার (Russia-Ukraine War) অংশ বলে ঘোষণাও করা হয়। দক্ষিণ ইউক্রেনের এই অঞ্চলের সঙ্গে মস্কোর সরাসরি যোগাযোগের জন্য ২০১৮ সালে দুই লেনের এই সেতু উদ্বোধন করেছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন। একটি লেন দিয়ে ট্রেন চলত। অপর লেনে চলত গাড়ি। শনিবার সাতসকালে সেই গুরুত্বপূর্ণ সেতুর উপর বিস্ফোরণ ঘটে।

 
মনে করা হচ্ছে, ট্রেন যাওয়ার লেনেই বিস্ফোরণ ঘটে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একাধিক ভিডিও, ছবিতে দেখা গিয়েছে, দাউদাউ করে জ্বলছে পণ্যবাহী ট্রেনের একাংশ। আবার গাড়ি যাতায়াতের লেনটি ভেঙে পড়েছে সমুদ্রের উপর। স্বাভাবিকভাবেই দুই অঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ ব্যহত হয়েছে। যুদ্ধের আবহে এই বিস্ফোরণকে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের তকমা দিয়েছে রাশিয়া। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল তা জানতে রুশ গোয়েন্দাদের পাঠানো হয়েছে। তাদের সন্দেহের তির ইউক্রেনের যোদ্ধাদের দিকে।
 
রাশিয়ার তদন্তকারী কমিটির তরফে জানানো হয়েছে,  “প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে ক্রাইমেন সেতুর গাড়ি চলাচলের অংশে বিস্ফোরণে একটি ট্রাক উড়ে গিয়েছে। ক্রাইমিয়াগামী ট্রেনের জ্বালানিবাহী ৭টি ট্যাংকেও আগুন ধরে যায়। সেতুর দু’টি অংশই ধ্বসে গিয়েছে।” মনে করা হচ্ছে, এবার যুদ্ধের আবহে রাশিয়ার দখলে থাকা ক্রাইমিয়াও ছিনিয়ে নিতে চাইছে ইউক্রেনীয় সেনা। সংবাদ প্রতিদিন/এনবিএস/২০২২/একে